পরিচ্ছন্নতায় জুড়ি মেলা ভার। দোতলা হাসপাতাল ভবনের চারিদিক ঝকঝকে। যদিও চিকিৎসক-নার্সের অভাবে এই দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালই ভুগছে ‘রেফার’ রোগে।
অভিযোগ, ৩০ শয্যার হাসপাতালের অধিকাংশ বেডই ফাঁকা পড়ে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগীর ছুটি হয়ে যাওয়ার কারণেই শয্যা ফাঁকা পড়ে রয়েছে। যদিও রোগীর পরিজনেদের দাবি, রোগীদের অহরহ ‘রেফার’ করে দেওয়ায় শয্যা ফাঁকাই পড়ে থাকছে। এ ছাড়াও চিকিৎসায় গাফিলতি বাড়তে থাকায় হাসপাতালের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন রোগীরা।
হাসপাতালের সমস্যার মূল কারণ যে চিকিৎসকের অভাব, তা মানছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বছর তিনেক আগে গ্রামীণ হাসপাতালের তকমা পেয়েছে এই হাসপাতাল। যদিও হাসপাতালে ৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও রয়েছেন ৪ জন। নেই কোনও স্ত্রী রোগ ও শিশু বিশেষজ্ঞ। ৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৩ জন (জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার) জিডিএমও হলেও একজন (অ্যাসিট্যান্ট মেডিক্যাল অফিসার) এএমও। কম নার্সের সংখ্যাও। ১১ জন নার্সের পদ থাকলেও রয়েছেন ৯ জন নার্স। নেই নার্স সুপার ও পাবলিক হেলথ নার্স।