রসমণি মুর্মু। নিজস্ব চিত্র।
বেলপাহাড়ির কুশভুলা-শ্যামনগর জঙ্গল থেকে এক মহিলার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রসমণি মুর্মু (৩৭) নামে ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। বেলপাহাড়ির কাশীজোড়া গ্রামের অবিবাহিতা রসমণিদেবী বর্ধমানের জামালপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন। মকর পরব উপলক্ষে গত ১৩ জানুয়ারি জামালপুর থেকে বাসে বেলপাহাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরিজনরা জামালপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু ওই মহিলার খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার জঙ্গলে শাল পাতা কুড়োতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা পচাগলা দেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। মৃতদেহের দু’টি হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো ছিল। সঙ্গে একটি ব্যাগে ছিল রসমণিদেবীর আধার কার্ড, প্যানকার্ড। রসমণিদেবীর ভাই রঞ্জিত মুর্মু দেহটি শনাক্ত করেন। রঞ্জিতবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপরে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এলাকাবাসীর একাংশের অনুমান, পুরনো কোনও পারিবারিক শত্রুতার জেরে রসমণিদেবীকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। শুক্রবার মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সাত বছর ধরে জামালপুরের বেড়ুগ্রামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন রসমণিদেবী। পার্বণে বছরে এক-দু’বার বাড়ি আসতেন। মকর পরব উপলক্ষে গত ১৩ জানুয়ারি বাসে আসার সময় ছোট বোনের সঙ্গে বার কয়েক মোবাইল ফোনে তাঁর কথাও হয়।
রসমণিদেবীর বোন রাধিকা মুর্মু বলেন, “সে দিন দিদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। শেষ বার দিদি জানিয়েছিল, বাসটি বাঁকুড়ার রাইপুর ছেড়ে ফুলকুসমার দিকে যাচ্ছে। পরে দিদির ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়।” রসমণিদেবীর ভাই রঞ্জিত মুর্মু বলেন, “আমাদের সন্দেহ, দিদিকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতনের পরে খুন করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy