রূপনারায়ণের তীরে ভিড় অনেকটাই কম। নিজস্ব চিত্র।
নোট বাতিলের জের পড়ল বড়দিনের বনভোজনের আসরেও।
প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সকাল থেকেই তমলুক শহরের স্টিমারঘাট, জামিত্যা, কোলাঘাট শহরের কাছে রূপনারায়ণ তীর বনভোজনে আসা লোকের ভিড়ে জমজমাট থাকে। এছাড়াও জেলার নন্দকুমারের নরঘাট, মহিষাদলের হরিখালি এলাকায় হলদি নদীর তীরে এবং পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় কাঁসাই নদীর তীরেও বনভোজনের ভিড়ে ঠাসা ছবি দেখা যেত বড়দিনের ছুটিতে। কিন্তু এ বার ছবিটা অনেকটাই আলাদা।
এ দিন বনভোজনে এসেছিলেন তমলুকের নিকাশি এলাকার বাসিন্দা অনুপ ভুঁইয়া। স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে মিলে সপরিবারে আসা অনুপবাবু বলেন, ‘‘কয়েক বছর ধরেই এখানে এসে পিকনিক করি। তবে এ বার লোকজনের ভিড় বেশ কম। টাকার সমস্যার কারণেই এমনটা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।’’ নদীর তীরে দোকান দেওয়া তমলুক শহরের শঙ্করআড়ার বাসিন্দা মোহন সাহু বলেন, ‘‘প্রতি বছর বড়দিন এবং নববর্ষের দিন এখানে অনেকে বনভোজন করতে আসেন। কিন্তু এ বার ভিড় খুবই কম। কেনাবেচাও কম।’’ বড়দিনে রূপনারায়ণ নদীতীরে ভিড়ের বহর যে অনেকটাই কম তা জানিয়ে তমলুক থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু প্রধান বলেন, ‘‘গত বছর বনভোজনে আসা লোকজনকে সামাল দিতে নাস্তানাবুদ হয়েছিলাম আমরা। এ বার আর সেই ভিড়ি কোথায়? কোথাও কোনও গোলমালও হয়নি।’’
হলদিয়ার প্রতিবন্ধীদের পিকনিকের আনন্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক পান্নালাল দাস। তাঁর বক্তব্য, “বড়দিনের আনন্দ থেকে প্রতিবন্ধীরা বঞ্চিত থাকবে কেন? তাই সবাইকে নিয়ে এই বনভোজনের ব্যবস্থা করেছি। অল্পতেই কত খুশি ওরা।” মহিষাদল থানার অন্তর্গত মীরপুর গ্রাম সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইয়ে। মহিষাদল রাজবাড়িও আলো ঝলমলে।
বড়দিন উপলক্ষে রবিবার পযর্টকরা ভিড় জমিয়েছেন দিঘা মন্দারমণি, তাজপুর ও শঙ্করপুর সৈকতে। কাঁথির এসডিপিও ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘বড়দিনে জনসমাগম হলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy