পাঁচ লক্ষ বা তার বেশি টাকার কাজ হলেই দরপত্র আহ্বান করতে হবে ইন্টারনেটে (ই-টেন্ডার)। তবে এই নির্দেশ শুধুই খাতায়কলমে। বছরের পর বছর কোটি কোটি টাকার কাজ চলেছে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে সাধারণ টেন্ডারেরে মাধ্যমে। অভিযোগ, তাতে দুর্নীতির সুযোগ বাড়ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত। একটিতেও ই-টেন্ডারের নিয়ম মেনে কাজ হয়নি গত কয়েক বছরে। ১৫-২০ লক্ষ বা তার থেকেও বেশি টাকার কাজ হচ্ছে সাধারণ দরপত্র আহ্বানের পদ্ধতিতে। অনেক ক্ষেত্রে তাও মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ই-টেন্ডার হলে ইন্টারনেটে যাবতীয় কাজের হিসাব থাকে, যে কেউ তা জানতে পারেন। ফলে, স্বচ্ছতা বজায় থাকে। কিন্তু ই-টেন্ডার আর্কাইভে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি-সহ বহু সরকারি দফতরের দরপত্রের উল্লেখ থাকলেও গত ১৫-২০ দিনে কোনও পঞ্চায়েতের কোনও একটি কাজেরও উল্লেখ নেই।
অভিযোগ, পঞ্চায়েতস্তরে দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দিতেই ই-টেন্ডার করা হচ্ছে না। নয়ছয় হচ্ছে সরকারি অর্থ। কাজের গুণগত মানও কমছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সবই জানে জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ। তবু তারা নীরব। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা আবার বলছেন, “এমন হচ্ছে নাকি? খোঁজ নিয়ে দেখব!” আর জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের বক্তব্য, “এ রকম ঘটনার কথা জানা নেই।” অথচ জেলার এক পদস্থ কর্তাই স্বীকার করে নিয়েছেন পুরো বিষয়টা। তাঁর কথায়, “শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর কেন, রাজ্য জুড়েই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও একই অবস্থা।”