Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
রবিবাসরীয় প্রচার

বাজার থেকে বাড়ি, জনতার কাছে ভোটভিক্ষা

ছুটির দিন। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। লাগানোর চেষ্টা করলেন প্রার্থীরা। কেউ বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারলেন। কেউ বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন। কেউ বা ব্যস্ত থাকলেন কর্মিসভা এবং ছোট ছোট পথসভাতেই। রবিবার কলাইমুড়িতে প্রচার সারেন শালবনির তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো। মিছিল হয়। মিছিল এলাকা ঘুরে। তার ফাঁকেই বাড়ি বাড়ি ঢুঁ মারেন শ্রীকান্তবাবু। নির্বাচনে পাশে থাকার আবেদন জানান। শালবনির তৃণমূলপ্রার্থী বলছেন, “এই পাঁচ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে।

বিজেপি প্রার্থী তুষার মুখোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি প্রার্থী তুষার মুখোপাধ্যায়।— নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৬ ০০:৪২
Share: Save:

ছুটির দিন। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। লাগানোর চেষ্টা করলেন প্রার্থীরা। কেউ বাজারে গিয়ে জনসংযোগ সারলেন। কেউ বাড়ি বাড়ি ঘুরলেন। কেউ বা ব্যস্ত থাকলেন কর্মিসভা এবং ছোট ছোট পথসভাতেই।

রবিবার কলাইমুড়িতে প্রচার সারেন শালবনির তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো। মিছিল হয়। মিছিল এলাকা ঘুরে। তার ফাঁকেই বাড়ি বাড়ি ঢুঁ মারেন শ্রীকান্তবাবু। নির্বাচনে পাশে থাকার আবেদন জানান। শালবনির তৃণমূলপ্রার্থী বলছেন, “এই পাঁচ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে। নতুন নতুন প্রকল্প হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ তৃণমূলের পাশেই থাকবেন।” শালবনির সিপিএম প্রার্থী শ্যাম পাণ্ডের সমর্থনে এদিন মিছিল হয়। সকালে চকতারিনী থেকে এই মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার। প্রার্থীও ছিলেন। মিছিল শেষে কর্মিসভা হয়। কর্মিসভায় দীপকবাবুর বার্তা, “রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। কর্মসংস্থানের দিশা নেই। তৃণমূল শুধু দ্বিচারিতাই করে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে আরও জোরালো প্রতিবাদ হওয়া দরকার। প্রতিবাদ- প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। না- হলে মানুষের জীবনে আরও বড় বিপদ ঘনিয়ে আসবে।” শালবনির বিজেপি প্রার্থী ধীমান কোলে এদিন গোয়ালতোড়ে গিয়ে কর্মিসভা করেন। গোয়ালতোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা তাঁর নির্বাচনী এলাকার মধ্যেই পড়ে।

খড়্গপুরের তৃণমূলপ্রার্থী দীনেন রায়ের সমর্থনে এদিন একাধিক কর্মিসভা হয়েছে। মিছিলও হয়েছে। প্রচারে প্রার্থী নিজেও ছিলেন। দুপুরে ধর্মায় কর্মিসভা হয়। খড়্গপুরের সিপিএম প্রার্থী শাহজাহান আলির সমর্থনেও এদিন ধর্মায় কর্মিসভা হয়েছে। বিকেলে এই সভায় ছিলেন দীপক সরকার, বিজয় পালরা। খড়্গপুরের বিজেপি প্রার্থী গৌতম ভট্টাচার্যও এদিন গ্রামীণ এলাকায় কর্মিসভা করেন। অন্যদিকে, এদিন বিকেলে মেদিনীপুরের সিপিআই প্রার্থীর সমর্থনে এক কর্মিসভা করে সিপিএম। মেদিনীপুর শহরে এই কর্মিসভা হয়। ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, শহর জোনাল সম্পাদক সারদা চক্রবর্তী প্রমুখ। মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী তুষার মুখোপাধ্যায় রবিবাসরীয় সকালে রাজাবাজারে প্রচার সারেন। বাজারে আসা লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তুষারবাবুর দাবি, “দেশ জুড়ে বিজেপির সমর্থনে হাওয়া বইছে। এ রাজ্যেও তাই! আমরা সর্বশক্তি দিয়ে প্রচারে নামছি।”মেদিনীপুরের তৃণমূলপ্রার্থী মৃগেন মাইতি এদিন বিকেল থেকে কয়েকটি কর্মিসভা করেন। মিছিলও হয়। মৃগেনবাবু বলেন, “বিভিন্ন এলাকাতেই প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মিসভাও চলছে।” ভোটের তো আর বেশি দেরিও নেই।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়েছে। তবে প্রচারে নামার ক্ষেত্রে শাসক- বিরোধী উভয় শিবিরের একাংশ কর্মীর মধ্যে আলস্য, আড়ষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু, কর্মীরাই তো প্রচারের মূলধন! পরিস্থিতি দেখে ‘মুমুর্ষু’ ক্যাডারদের চাঙ্গা করে মাঠে নামাতে তত্‌পর হয়েছে সব দল। বড় সমাবেশ- সভার আগে কর্মীদের নিয়ে ছোট সভা- মিছিলেই ব্যস্ত সব শিবির। সব প্রার্থীরাই মানছেন, ভোট বৈতরণী পেরোতে গেলে কর্মীদের উপর ভরসা করতেই হবে। কারণ, তাঁরাই তো এলাকায় দলের মুখ। প্রচার থেকে ভোটের কাজকর্ম তো তাঁদেরই দেখভাল করতে হয়। পরিস্থিতি দেখেই ছুটির দিনটাকে আর হেলায়- ফেলায় কাটাতে রাজি হননি কেউ! সব দলের সব প্রার্থীরই রবিবার দিনভর ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। প্রচার কর্মসূচির ফাঁকেই কেউ কেউ মনোনয়নপর্বের প্রস্তুতি সেরেছেন। ফাইলে গুছিয়ে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE