তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যানের মুখোমুখি আনন্দবাজার পত্রিকার পাঠকরা
পাকা রাস্তার পাশের ফুটপাথের জন্য যথেষ্ট জায়গা নেই। যেটুকু ফুটপাথ আছে তাও দখল করে দোকান বসছে অথবা ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র রাখছেন। শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় পুরসভাকে বাধা দিতে দেখিনি কেন?
দেবাশিস দাস (ইতিহাস গবেষক), ৬ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: প্রধান রাস্তার পাশে জিনিসপত্র রাখা এবং নিকাশি নালার উপর নির্মাণ করা যাবে না বলে মাইক প্রচার চালানো হয়েছে। যারা নিয়ম মানছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শহরে নিকাশির ভরসা অনেক গ্রামখাল এখনও কাঁচা। এগুলো পাকা করার জন্য কোনও পুরসভা কি উদ্যোগী হচ্ছে ?
প্রশান্ত দাস (আইনজীবী), ১৪ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: শহরের অধিকাংশ নিকাশি নালা পাকা। শহরের মানিকতলা থেকে শঙ্করআড়া পর্যন্ত হলদিয়া-মেচেদা সড়কের ধারে বেশ কিছু নিকাশি নালা তৈরি হয়েছে। পুরনো নালাও সংস্কার করা হচ্ছে।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে জঞ্জাল সংগ্রহ চালু হয়েছে মাস দুয়েক আগে। কিন্তু সাফাইকর্মীরা এলাকায় নিয়মিত যাচ্ছেন না। এটা হচ্ছে কেন?
আরজুমান্দ লায়লা (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক), ৯ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: জঞ্জাল সংগ্রহ ব্যবস্থা আরও পরিবেশ বান্ধব করার জন্য ব্যাটারি চালিত গাড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়া হবে। বিশ্বকর্মা পূজার দিন ১০ টি ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালু হবে। মহিলা কর্মীরা গাড়ি চালিয়ে যাবেন জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য। জঞ্জাল কম্প্যাক্টর মেশিনের সাহায্যে নির্দিষ্টস্থানে ফেলা হবে।
হকার দখল করেছে ফুটপাথ। রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন তমলুকের বাসিন্দারা। ফলে বাড়ছে যানজট।
বর্তমানে শহরে যে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে, তা পরিস্রুত নয়। জলের মান উন্নত করার বিষয়ে পুরসভা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে কি?
উত্তরসখা বেরা (আইনজীবী), ১ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: বর্তমানে শহরে পাম্পের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ জল তুলে সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তা পরিস্রুত করার ব্যবস্থা নেই। তবে রূপনারায়ণের জল তুলে পরিস্রুত করে সরবরাহের জন্য ১০৫ টি কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার এ জন্য অর্থ দেবে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা সেই কাজ শুরু করে দেব।
জেলার ছেলে-মেয়েরা খেলার অনুশীলনের জন্য কলকাতায় যেতে বাধ্য হন। আমাদের শহরে ইন্ডোর স্টেডিয়াম নেই। এ নিয়ে পুরসভার ভাবনা আছে কি?
দেবপ্রীতি জানা (বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী), ১৩ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: রাখাল মেমোরিয়াল ময়দানকে স্পোর্টস কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। সেটাই আপাতত হোক। আলাদা করে এখনই ইন্ডোর স্টেডিয়াম গড়ার আপাতত কোনও পরিকল্পনা পুরসভার নেই।
পার্বতীপুর এলাকায় একটি কমিউনিটি হল তৈরি করেছে পুরসভা। হলের সামগ্রিক পরিকাঠামো অনুষ্ঠানের উপযোগী নয়। পুরসভার অফিসের উপরে হলঘরে জিনিসপত্র রাখা হয়। এ নিয়ে পুরসভার কি আলাদা কোনও পরিকল্পনা রয়েছে?
সঞ্চিতা কবিরাজ (আবৃত্তি শিল্পী), ১২ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: পুরসভার ওই কমিউনিটি হলের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের উপযোগী করে তোলা হবে ওই হলটিকে। পুরসভার অফিসের উপরে মহেন্দ্র স্মৃতি সদনের পরিকাঠমো উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
স্টেশন এলাকায় তমলুক কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। কিন্তু স্ট্যান্ড থেকে কোনও বাস যাতায়াত করে না। স্ট্যান্ড থেকে কলকাতা, মেদিনীপুর-সহ দূরপাল্লার বাস চালানোর জন্য ব্যবস্থা হবে কি?
রাজর্ষি মহাপাত্র (শিক্ষক), ৬ নম্বর ওয়ার্ড
পুরপ্রধান: তমলুক কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তা সঙ্কীর্ণ। ফলে বাস যাতায়াতে সমস্যা ছিল। রাস্তাটি রেল দফতরের। রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য রেল দফতরের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ওই কাজ শুরু করেছে। রাস্তা সম্প্রসারণ সম্পূর্ণ হলে বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লা-সহ বিভিন্ন রুটের বাস চালানোর ব্যবস্থা করা হবে ।
পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy