Advertisement
০৫ মে ২০২৪

দল বদলের পুরস্কার, হানিফ উপ-পুরপ্রধান

পুরবোর্ড গঠনের আগে সিপিআই ছেড়ে আসা কাউন্সিলর শেখ হানিফকে খড়্গপুরে উপ-পুরপ্রধান ঘোষণা করল তৃণমূল। শনিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনগরের মেদিনীপুর সাংসদের কার্যালয়ে এই ঘোষণা করেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়। এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল খড়্গপুরের ১৮ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে। কিন্তু ছিলেন মাত্র ৯ জন। আসেননি শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল, প্রাক্তন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরী।

শেখ হানিফ। —নিজস্ব চিত্র।

শেখ হানিফ। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৫ ০০:২২
Share: Save:

পুরবোর্ড গঠনের আগে সিপিআই ছেড়ে আসা কাউন্সিলর শেখ হানিফকে খড়্গপুরে উপ-পুরপ্রধান ঘোষণা করল তৃণমূল। শনিবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনগরের মেদিনীপুর সাংসদের কার্যালয়ে এই ঘোষণা করেন দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়।

এ দিনের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল খড়্গপুরের ১৮ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে। কিন্তু ছিলেন মাত্র ৯ জন। আসেননি শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল, প্রাক্তন উপপুরপ্রধান তুষার চৌধুরী। ছিলেন না বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বেলারানি অধিকারী বা সিপিআই ছেড়ে আসা শর্মিষ্ঠা সিংহও। শহরের এই তিন শীর্ষ নেতার অনুপস্থিতি ঘিরে দলীয় কর্মীদের মধ্যেই শোরগোল পড়েছে।

রেলশহরে তৃণমূল এ বার পুরপ্রধান করেছে ‘নতুন মুখ’ প্রদীপ সরকারকে। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল উপ-পুরপ্রধান এবং পুর-পারিষদ কে হবেন তা নিয়ে। শনিবার রাজ্য নেতৃত্বের চিঠি এসেছে বলে দাবি করেন দীনেনবাবু। তারপরেই বৈঠক ডেকে উপ-পুরপ্রধান হিসাবে ঘোষণা করা হয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ হানিফের নাম।

তৃণমূল সূত্রে খবর, টানা ৪৫ বছর বামেদের হাতে থাকা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ বারও সিপিআইয়ের টিকিটে জিতেছিলেন হানিফ। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগেই উপ-পুরপ্রধানের পদ চেয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে তৃণমূলের একাংশ যে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট। আগেই তুষার চৌধুরী, জহরলাল পাল বা দেবাশিস চৌধুরীদের মতো পুরনো কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে নতুন প্রদীপবাবুকে পুরপ্রধান করায় ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছিল। এ দিন হানিফকে উপ-পুরপ্রধান করার পরে সেই ক্ষোভ আরও বেড়েছে এবং সে জন্য পুরনো কাউন্সিলরদের বেশিরভাগই বৈঠকে আসেননি বলে অনুমান। যদিও বৈঠকে অর্ধেক কাউন্সিলরের অনুপস্থিতি নিয়ে পুরপ্রধান প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “দুপুরের পর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। তা ছাড়াও অনেকে অসুস্থ, কেউ কেউ জেলার বাইরে রয়েছেন। তাই আসতে পারেননি।” দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি অজিত মাইতির কথায়, “উপ-পুরপ্রধান কে হবেন তা রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করেছেন। আর এখানে সকলকে উপস্থিত থাকতেই হবে, এমন কোনও কথা নেই।’’ জেলা সভাপতি দীনেনবাবুও এই অনুপস্থিতিকে ‘একটা সামান্য বিষয়’ বলেই উল্লেখ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE