কাজে গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযোগ উঠতে শুরু করল দুর্নীতির অভিযোগ। মিশন নির্মল বাংলায় শৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে। এমনকী এই সব সরঞ্জাম পরিমাণেও দেওয়া হচ্ছে কম। সম্প্রতি শালবনি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত কড়সায় একটি নির্মীয়মাণ শৌচাগার ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ। জেলা পরিষদের মাধ্যমেই শৌচাগার নির্মাণের কাজ হচ্ছে। যদিও জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের বক্তব্য, “নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে এখনও অভিযোগ পাইনি। পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”
গোড়ায় শৌচাগার নির্মাণে ৩৪০টি ভাল ইট ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। পরে সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়েছে। যদিও উপভোক্তাদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ৩২০টি ইট দিয়েই কাজ করা হচ্ছিল। কিছু ক্ষেত্রে ৩০০ ইটেও শৌচাগার নির্মাণ হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা বলছে, ৪০০ ভাল ইট, ৫.২৫ ব্যাগ আইএসআই চিহ্নযুক্ত সিমেন্ট, দেড় ইঞ্চির স্টোন চিপস ৬.৯৪ সিএফটি, ঝামা বাটস ৩.৪৪ সিএফটি, মাঝারি বালি ২৩.৪৪ সিএফটি, ৫.৫ মিলিমিটারের স্টিলের রড ৩.৪৪ কেজি-সহ জিসিআই সিট, পিভিসি পাইপ, কাঠ প্রভৃতি দিয়ে শৌচাগার বানাতে হবে। কিন্তু এ সব নিয়ম মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, মাটির নীচে সামান্য গর্ত করেই দেওয়াল তোলা হচ্ছে। তারপর মাটি দিয়ে তা বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে হর্ত। ঢালাই করা হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপভোক্তার কথায়, “ইটও এমন যে হাত থেকে খসে পড়লেই ভেঙে টুকরো হয়ে যাচ্ছে। নীচে ঢালাই না থাকায় গাঁথনি সহজে ভাঙার আশঙ্কা। এমন হলে তো শৌচাগার ছ’মাসও থাকবে না!”
অভিযোগ, ঠিকাদার ও শাসক দলের এক শ্রেণির নেতার মদতেই এই দুর্নীতি চলছে। ফলে, সে ভাবে প্রতিবাদ হচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপভোক্তার কথায়, “অভিযোগ করলে হেনস্থা হতে হবে। জলে বাস করে কুমীরের সঙ্গে লড়াই করি কোন সাহসে!” বিজেপি-র জেলা সভাপতি ধীমান কোলেরও বক্তব্য কথায়, “এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও প্রশাসন কেন উদাসীন বুঝছি না। অভিযোগ জানিয়েও তো সুরাহা হয়নি।” জেলা সভাধিপতির অবশ্য আশ্বাস, শৌচাগার নির্মাণের কাজ খতিয়ে দেখতে আরও বেশি করে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
বৈঠক। শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ও মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়ক, সহায়িকা, সম্প্রসারক, সম্প্রসারিকাদেরও সাধারণ শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন নামতে চায় পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল এমএসকে এবং এসএসকে শিক্ষক সমিতি। সেই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে সংগঠনের জেলা শাখার উদ্যোগে গত রবিবার মেদিনীপুর শহরের শ্রীশ্রী মোহনানন্দ বিদ্যালয়ে বৈঠকটি হয়। বৈঠকে জেলার ২৯টি ব্লকের ২৭টি ব্লকের প্রতিনিধিরাই উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যের কাছে এই দাবি জানানোর পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠকে। সংগঠনের সভাপতি সুজিত ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক তাপস সাউ বলেন, “বিভিন্ন সূত্র মারফৎ আমরা জানতে পেরেছি, আমাদের মতো শিক্ষকদের সাধারণ শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়ার জন্য কোনও কোনও রাজ্য উদ্যোগী হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগেই সেটি হচ্ছে। বিষয়টি আমরা ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও সেই দাবি জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy