রোহিত দে ও শুভকরানন্দ। নিজস্ব চিত্র
শুধু পড়াশোনা নয়, আবাসিক পড়ুয়াদের সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে ‘স্পেশ্যাল এক্সপোজার ক্যাম্প’ শুরু করল ঝাড়গ্রাম একলব্য। বুধবার থেকে থেকে শুরু হয়েছে ওই শিবির। চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। রাজ্যের মোট সাতটি একলব্য স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা শিবিরে যোগ দিতে ঝাড়গ্রামে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিবিরের দ্বিতীয় দিনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন রোহিত দে। কলেজ পড়ুয়া রোহিত বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। ২০১৫ সালে ন্যাশনাল এ্যারোনটিকস্ অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা (নাসা)-এর ‘জুনিয়র সায়েন্টিস্ট’ পুরস্কার পেয়েছিলেন রোহিত। এ দিনের শিবিরে নিজের তৈরি করা নানা ধরনের ড্রোন, ইউএভি (আনম্যানড এরিয়েল ভেহিকল) দেখান তিনি। শোনান পুরস্কার পাওয়ার অভি়জ্ঞতাও। সম্প্রতি হাতের তালুর মাপের একটি ইউএভি বানিয়েছেন। মোবাইল ফোন দিয়েই ছোট্ট সেই ড্রোনটি ওড়ানো যায়। রোহিত জানালেন, যেখানে বড় ড্রোন পৌঁছতে পারে না, সেখানে অনায়াসে ছোট্ট ড্রোনটি গিয়ে ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করে পাঠাতে পারবে। রোহিতের হাতে বানানো ড্রোন দেখে খুশি একলব্যেরাও। রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে ঝাড়গ্রাম একলব্যের ভারপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “একলব্যেরা এক দিন সব্যসাচী হয়ে আকাশ ছুঁয়ে ফেলবে, শিবিরে এমন প্রত্যয় নিয়েই ওরা চারপাশের জগতটাকে নতুন করে চেনার সুযোগ পাচ্ছে।” পাঁচ দিনের এই শিবিরে গোটা রাজ্যের ৩৪৫ জন ছাত্রছাত্রী যোগ দেবে যোগাসন, ক্যারাটে, ব্রতচারী, সমবেত প্রার্থনা এবং মনোসংযোগ কার্যক্রমে। সেই সঙ্গে থাকছে বিশেষ পড়াশোনার ক্লাস, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা, কেরিয়ার গাইডেন্স, স্বাস্থ্য সচেতনতা, বাগান পরিচর্যা, গল্প বলা, নানা খেলাধুলো, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
রামকৃষ্ণ মিশনের পরিচালনায় ঝাড়গ্রাম একলব্যের পড়ুয়ারা উত্তরণের পথে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের বাকি ছ’টি একলব্য স্কুলের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আদিবাসী উন্নয়ন দফতর ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর। সরকারি সূত্রের ক্তব্য, রাজ্যের অন্য একলব্যের পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এই বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy