Advertisement
E-Paper

ছাউনি নেই, ভিজতে হয় বৃষ্টি হলেই

গোলবাজার থেকে খরিদা বাজার— ছবিটা কমবেশি সর্বত্র একই। খড়্গপুর শহরের সবচেয়ে বড় গোলবাজারে একসময়ে বিক্রেতাদের বসার জন্য রেলের পক্ষ থেকে টিনের ছাউনি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।

দেবমাল্য বাগচী

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৭ ০১:১৩
জলকাদা: এখানেই চলে কেনাবেচা। নিজস্ব চিত্র

জলকাদা: এখানেই চলে কেনাবেচা। নিজস্ব চিত্র

কোথাও অস্থায়ী বাজারের প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে গায়ে পড়ছে জল, আবার কোথাও বাজারের টিনের ছাউনি দিয়ে জল চুঁইয়ে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই খড়্গপুর শহরের বাজারগুলির দশা হয় এমনই। জোরে বৃষ্টি পড়লে কার্যত ভিজেই ক্রেতাদের বাজার করতে হয়। জল-কাদায় বাজারে

হাঁটা দায়।

গোলবাজার থেকে খরিদা বাজার— ছবিটা কমবেশি সর্বত্র একই। খড়্গপুর শহরের সবচেয়ে বড় গোলবাজারে একসময়ে বিক্রেতাদের বসার জন্য রেলের পক্ষ থেকে টিনের ছাউনি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র বসায় বর্ষায় ক্রেতাদের আগের মতোই দুর্ভোগে পড়তে হয়। ইন্দা ও কৌশল্যা বাজারের কিছুটা জায়গাতে টিনের ছাউনি থাকলেও অধিকাংশ এলাকায় বিক্রেতারা নিজেরাই প্লাস্টিকের ছাউনি গড়ে দোকান বসান।

সমস্যা সবচেয়ে বেশি খরিদা ও তালবাগিচা বাজারে। দীর্ঘদিনের পুরনো খরিদা বাজারে যত্রতত্র বসে আনাজ ও মাছ বাজার। কোথাও কোনও ছাউনি বা পাকা বেদী কিছুই নেই। ফলে বৃষ্টি হলেই রাস্তার জল গড়িয়ে আনাজ ও মাছে মেশে। মালঞ্চর বাসিন্দা মানস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রোদে তাও বাজার করা যায়। কিন্তু বর্ষায় যে কী কষ্ট হয় বলে বোঝানো যাবে না। বৃষ্টির জলে না হোক, ত্রিপলের ছাউনির জলেও ভিজতে হয়। এত বছরেও বাজারগুলির পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হল না।” খরিদার আনাজ বিক্রেতা হেমলতা বর্মন, মাছ বিক্রেতা বর্ণালী পণ্ডিতেরাও বলছিলেন, “আমাদের অসহায়তার কথা কে শুনবে। রোদে-বৃষ্টিতে আমাদের এ ভাবেই বাজারে বসতে হবে। বসার জন্য একটা সুনির্দিষ্ট ছাউনি দেওয়া জায়গা পেলে ভাল হত।”

তালবাগিচা বাজারের হাল আরও খারাপ। এখানে একটি বড় মাঠে সকালে বসে আনাজ ও মাছ বাজার। একসময়ে এই বাজারে টিনের ছাউনি দেওয়া ছিল। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেই টিনের ছাউনি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন খোলা মাঠেই বসে বাজার। রোদে-বৃষ্টিতে বাজার করতে হয় ক্রেতাদের। বর্ষায় মোরামের কাদায় যন্ত্রণা বাড়ে বিক্রেতাদেরও। আনাজ বিক্রেতা নিখিল মণ্ডল, মাছ ব্যবসায়ী নারায়ণ শীলের কথায়, “খুব কষ্ট করে রোদ-বৃষ্টিতে এ ভাবে আমাদের বাজার করতে হয়। বাজারে বিক্রেতাদের বসার জন্য ছাউনি দেওয়া হলে ভাল হয়।” স্থানীয় বাসিন্দা ক্রেতা বিধান শীলেরও বক্তব্য, “ছোট থেকেই এই বাজারে আসছি। বৃষ্টিতে ভিজে এ ভাবে বাজার করা কি সম্ভব। বিক্রেতার দুর্দশা দেখেও খারাপ লাগে।”

এ বিষয়ে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “রেল এলাকার বাজারে আমাদের কিছু করার নেই। রেল কাজে বাধা দেয়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘খরিদা বাজারের রাস্তা আমরা টালি দিয়ে বাঁধিয়ে দিয়েছি। কিন্তু ছাউনি গড়ার মতো জায়গার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে ভেবে দেখব। তালবাগিচা বাজারের বিষয়েও খোঁজ নেব।”

Kharagpur Markets
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy