Advertisement
১৮ মে ২০২৪

বিপ্লবের মাটিতে স্মরণে আত্মত্যাগ 

ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী তারকা সাংসদ দেবের সমর্থনে ছিল এই সভা।

বক্তা: ডেবরার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

বক্তা: ডেবরার সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডেবরা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০১৯ ০১:৩৬
Share: Save:

তৃণমূল হোক বা বিজেপি লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে প্রচারে এসে দুই শিবিরের নেতারাই স্মরণ করছেন বিপ্লবীদের আত্মত্যাগকে।

আগামী ১২ মে দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভোট। ফলে তুঙ্গে উঠেছে প্রচার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কিংবা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভায় একে অপরকে বিঁধছেন। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে দু’পক্ষই হাতিয়ার করছে বিপ্লবীদের আত্মত্যাগকে। প্রধানমন্ত্রী তুলেছিলেন ক্ষুদিরাম বসুর আত্মত্যাগের প্রসঙ্গ। মমতা ক্ষুদিরামের পাশাপাশি স্মরণ করেছেন বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনী, সতীশ সামন্তকে।

বুধবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার গোদাবাজারে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন মমতা। মূলত ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী তারকা সাংসদ দেবের সমর্থনে ছিল এই সভা। তবে মঞ্চে ছিলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মানস ভুঁইয়াও। সেই সভাতে মেদিনীপুরের মানুষের মন জয় করতে তিনি বলেন, “মেদিনীপুর জেলা স্বাধীনতা সংগ্রামের জেলা। এই জেলা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল। নিশ্চয়ই ভুলে যাননি মেদিনীপুর জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ভুলে যাননি। ক্ষুদিরামকে ভুলে যাননি। সতীশ সামন্তকে ভুলে যাননি। মাতঙ্গিনীকে ভুলে যাননি।” একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “সারা ভারতের তিনটি জায়গায় স্বাধীনতার আগে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছিল। একটি মহারাষ্ট্রের সাতারা, একটি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া। আর অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের মহিষাদল-তমলুক। বাংলার মাটি গণ জাগরণের মাটি। এই মাটি থেকেই বিজেপিকে আমরা উৎখাত করবই। এটাই আমাদের শপথ।”

মঙ্গলবার ঘাটালে বিজেপি সভাপতির সভায় তেমন লোক হয়নি। মাঠ যে ফাঁকা ছিল তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন অমিত। এ দিন মমতা জনসভাতেও তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, ‘‘এত গরমে আমি জানি কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও তিন-চার গুণ লোক এসে এখানে উপস্থিত হবেন। কারণ মিটিংয়ের সময় দেওয়া ছিল দেড়টায়। আমরা আধঘন্টা আগে এসেছি।” তার পরে ফের বলেন, “আমি জানি আর একটু পরে এলে ভাল হত। অনেক মানুষ আসবেন। ফিরে যাবেন। হয়তো আমার কথা না শুনতে পেয়ে তাঁরা দুঃখ পাবেন।’’

গরমে তৃণমূলনেত্রীর বক্তৃতায় ঝাঁঝ ছিল যথেষ্ট। ২৩মিনিটের বক্তৃতার আগাগোড়া বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “দেশে ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। সকলে ভয়ে চুপসে আছে। কিন্তু কাউকে না কাউকে বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতে হয়। সেই ঘণ্টা আমরা বাংলা বেঁধে দিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE