E-Paper

পশ্চিমে কমল পাশের হার, বাড়ল ঝাড়গ্রামে

অন্যদিকে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামে এ বার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি ছিল। তবে পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে ছাত্ররা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২৪ ০৯:১২
মার্কশিট সংগ্রহ। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনে।

মার্কশিট সংগ্রহ। ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনে। নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিকে পাশের হারে রাজ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর।‌ গত বারের তুলনাম কিছুটা কমে এই জেলায় এ বার পাশের হার ৯১.৪১ শতাংশ। আর জেলা থেকে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ৪ জন। অন্য দিকে ঝাড়গ্রাম জেলায় এ বার পাশের হার গতবারের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। জঙ্গলমহলের এই জেলায় এবার পাশের হার ৮৮.৩১ শতাংশ। ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে ১ জন।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় গত বছর মাধ্যমিকে পাশের হার ছিল ৯২.১৩ শতাংশ। এ বার সামান্য কমে হয়েছে তা ৯১.৪১ শতাংশ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত জেলার মনিটরিং টিমের কনভেনর শুভেন্দু গুঁইন বলেন, ‘‘পাশের হার ভালই। জেলাগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আমাদের জেলা।’’ এ বার জেলায় ছেলেদের পাশের হার ৯৩.৮৩ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৯০.৮০ শতাংশ। মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে‌ পশ্চিম মেদিনীপুরের চারজন। চারজনই মেদিনীপুর শহরের।

অন্যদিকে জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামে এ বার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা অনুপাতে ছাত্রীদের সংখ্যাই বেশি ছিল। তবে পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে ছাত্ররা। জেলায় মোট ১২৫১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৯৮০ জন ছাত্র ও ৬৫৩৭ জন ছাত্রী ছিল। জেলায় পাশের হার ৮৮.৩১শতাংশ। গত বছর জেলায় পাশের হার ছিল ৮৭.৯২ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এবার সামান্য বেড়েছে পাশের হার। এ বার ছাত্রদের পাশের হার ৯০.২৫ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাশের হার ৮৬.৩৭ শতাংশ। ছাত্রীদের মধ্যে অকৃতকার্যের হার ১৩.৪৪ শতাংশ। ছাত্রদের অকৃতকার্যের হার ৯.৪৫ শতাংশ। গত বছর ছাত্রদের পাশের হার ছিল ৯০.৩২ শতাংশ ও ছাত্রীদের পাশের হার ছিল ৮৫.৫৩ শতাংশ। গত বছর ছাত্রীদের মধ্যে অকৃতকার্যের হার ১৪.২৪ শতাংশ। গত বছর ছাত্রদের অকৃতকার্যের হার ৯.৩৫ শতাংশ। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলায় ফলাফল ভাল হয়েছে। প্রথম দশে একজন থাকলেও ছ’শোর উপর বহু পড়ুয়া রয়েছে।’’

এ বার মাধ্যমিকে রাজ্যে নবম হয়েছে ১৬ জন ছাত্রছাত্রী। তার মধ্যে রয়েছে ঝাড়গ্রাম রানি বিনোদ মঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিভাগের অন্বেষা ঘোষ। ৭৫ বছর অতিক্রান্ত ঐতিহ্যবাহী স্কুলটিতে ২০১৮ সালে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়। ইংরেজি মাধ্যম থেকে এবার রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছে অন্বেষা। স্কুলে ইংরেজি মাধ্যম চালু হলেও আজ পর্যন্ত ওই মাধ্যমে একজনও শিক্ষিকা নিয়োগ হয়নি পুরোদস্তুর সরকারি স্কুলটিতে। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষিকারাই ইংরেজি মাধ্যমের ক্লাস নেন। এতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি অন্বেষার। তার কথায়, ‘‘নিয়মিত স্কুলে ক্লাস করেছি। দিদিমণিরা অসম্ভব সাহায্য করেছেন। বাবা অঙ্ক দেখাতেন। বাকি ছ’টি বিষয়ের ছ’জন গৃহশিক্ষক ছিলেন। ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিকার সমস্যা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও দিন আমাদের সেই অভাব বুঝতেই দেননি। নিয়মিত ক্লাসের ফলে পড়া তৈরি হয়ে যেত।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jhargram midnapore

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy