Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পাশের হারে এগিয়ে রাজ্যে  দ্বিতীয় পশ্চিম

এ বার ঝাড়গ্রাম জেলায় পরীক্ষা দিয়েছিল ১৩,৫৯০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১,৭৯১ জন। এর মধ্যে উত্তীণ ছাত্রদের সংখ্যা ৫,৮৩৯ জন। ছাত্রী পাস করেছে ৫,৯৫২ জন। জেলায় সার্বিক পাসের হার ৮৬.৭৬ শতাংশ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ছাত্রদের পাশের হার ৮৯.৫৩ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৪.২২ শতাংশ।  

স্বস্তি: মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পর খোশমেজাজে। বুধবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

স্বস্তি: মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পর খোশমেজাজে। বুধবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ বালিকা বিদ্যালয়ে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০৩:৪০
Share: Save:

৮৫.৮১.. ৯০.১৮.. ৯১.৭৫…

মাধ্যমিকে পাশের হারে এগোচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর। গত বছর পাশের হারে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে ছিল পশ্চিম মেদিনীপুর। গত বছর জেলায় পাশের হার ছিল ৯০.১৮ শতাংশ। তার আগের বছর ২০১৬ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাশের হার ছিল ৮৫.৮১ শতাংশ। এ বার পাশের হারে আরও এগিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। এ বছর জেলায় পাশের হার ৯১.৭৫ শতাংশ। পাশের হারের ভিত্তিতে রাজ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থান দ্বিতীয়। পাশের হারের ভিত্তিতে শীর্ষে রয়েছে পড়শি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর।

এ বার ঝাড়গ্রাম জেলায় পরীক্ষা দিয়েছিল ১৩,৫৯০ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১১,৭৯১ জন। এর মধ্যে উত্তীণ ছাত্রদের সংখ্যা ৫,৮৩৯ জন। ছাত্রী পাস করেছে ৫,৯৫২ জন। জেলায় সার্বিক পাসের হার ৮৬.৭৬ শতাংশ। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ছাত্রদের পাশের হার ৮৯.৫৩ শতাংশ। ছাত্রীদের পাশের হার ৮৪.২২ শতাংশ।

বুধবার সকালে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়। এ দিনই স্কুলগুলোকে সুষ্ঠু ভাবে মার্কশিট দেওয়া হয়। পরে স্কুলও পরীক্ষার্থীদের মার্কশিট দিয়ে দেয়। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৭ হাজার ৫০৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৮২১ জন, ছাত্রী ৩০ হাজার ৬৮৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ১৩১টি। জেলার একাংশ জঙ্গলমহল এলাকা রয়েছে। জঙ্গলমহল এলাকার ফলও ভাল হয়েছে। জেলার এক শিক্ষাকর্তার কথায়, “জঙ্গলমহল এলাকার ফল ভাল না- হলে তার প্রভাব পড়ত জেলার সার্বিক পাশের হারের উপর।”

তবে গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে থাকছে পূর্ব মেদিনীপুর। সেই তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে থাকে পশ্চিম মেদিনীপুর। এ বারও পিছিয়ে রয়েছে। তবে অনেকটা নয়। শিক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, পাশের হারে পূর্বকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। কারণ, পশ্চিম মেদিনীপুরের মধ্যে রয়েছে জঙ্গলমহল। যে এলাকা শিক্ষার দিক থেকে এখনও একটু পিছিয়ে। শালবনি, গোয়ালতোড়ের মতো কিছু এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও শিক্ষার আলো সে ভাবে পৌঁছয়নি। অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। ওই সব এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছতে শুরু করেছে।

জেলার শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্রের কথায়, “আগে অনেকে গ্রামের কাছাকাছি স্কুলে মাধ্যমিক পড়তে পারত না। এখন সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। অনেক স্কুল মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে। ফলে, কাছাকাছি স্কুলে মাধ্যমিক পড়ার সুযোগ মিলছে। গতবারের থেকেও এ বার পাশের হার বেড়েছে। এর সুফল আগামী দিনেও মিলবে।”

জেলার এক শিক্ষাকর্তার কথায়, “পাশের হারে পূর্ব মেদিনীপুরকে টেক্কা দেওয়া সহজ নয়। তবে জেলার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে পরিবর্তন হচ্ছে। না- হলে পাশের হার বাড়ত না। নতুন স্কুল খোলায় অনেকে পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে। পড়াশোনার মানেরও উন্নতি হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE