অরবিন্দনগরের এই মাঠেই তৈরি হওয়ার কথা ছিল রবীন্দ্র ভবন। নিজস্ব চিত্র।
পরিকল্পনা আছেই। তবে জমি জটে এগোচ্ছে না মেদিনীপুরে রবীন্দ্র ভবন তৈরির কাজ।
মেদিনীপুরে একাধিক সভাঘর রয়েছে। জেলা পরিষদ চত্বরে প্রদ্যোত স্মৃতি সদন, অদূরে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির, ফিল্ম সোসাইটি হল, সুভাষনগরের স্পোর্টস কমপ্লেক্স। তা-ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ‘রবীন্দ্র ভবন’ গড়ে উঠলে তা শহরে সংস্কৃতি-চর্চায় নতুন পালক হিসেবে যুক্ত হবে বলেই অনেকের আশা। তবে এর জন্য জমি জোগাড় করা যায়নি। টাকা বরাদ্দ হলেও এগোয়নি কাজ। মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা মেদিনীপুর-খড়্গপুর উন্নয়ন পর্ষদের (এমকেডিএ) চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতির অবশ্য আশ্বাস, “মেদিনীপুরে রবীন্দ্র ভবন হবেই। বিষয়টি দেখছি!”
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, এক সময়ে শহরের অরবিন্দনগরের সরকারি জমিতে প্রস্তাবিত রবীন্দ্র ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। অবশ্য ওই সরকারি জমির একাংশ বেদখল হয়ে গিয়েছে। প্রস্তাবিত ভবন গড়ে তোলার জন্য এক সময়ে জমি মাপজোক করতেও যান তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিকরা। বাধা পেয়ে তাঁদের ফিরে আসতে হয়। তারপর থেকেই পুরো প্রক্রিয়া থমকে।
অথচ পরিকল্পনা রূপায়িত হলে রবীন্দ্র ভবনে প্রায় দেড় হাজার লোক বসতে পারবে। আর্ট গ্যালারি তৈরির ভাবনাও রয়েছে। অর্থ বরাদ্দের পরে ভবন তৈরির প্রক্রিয়া এক সময়ে শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েকটি প্রস্তাব আসে। সেগুলো খতিয়েও দেখা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “প্রস্তাবিত ভবন তৈরির জন্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অনেক দিন হয়ে গেল। এ বার যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর চেষ্টা করতেই হবে!”
রবীন্দ্র ভবনের কাজ দ্রুত শেষ হোক চাইছেন শহরের সংস্কৃতি জগতের মানুষজনও। মেদিনীপুরের সঙ্গীতশিল্পী আলোকবরণ মাইতি বলেন, “রবীন্দ্র ভবন হলে ভালই হবে। মেদিনীপুরে আরও অত্যাধুনিক সভাগৃহ দরকার। মাঝেমধ্যেই তো শহরে কত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।’’ মেদিনীপুর লিটল ম্যাগাজিন আকাদেমির সম্পাদক ঋত্বিক ত্রিপাঠী বলেন, “শহরে আর্ট গ্যালারি প্রয়োজন। প্রস্তাবিত ভবনে আর্ট গ্যালারি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর থেকে প্রায় তিনশোটি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়। এগুলো সংগ্রহ করে রাখার ব্যবস্থা হলে ম্যাগাজিনের সম্পাদক— সংগঠক থেকে পাঠক, সকলেই খুব উপকৃত হবেন।” ইতিমধ্যে রবীন্দ্র ভবন চত্বরে একটি ঘর বরাদ্দের জন্য আর্জিও জানিয়ে রেখেছে আকাদেমি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy