নতুন বইয়ে মজেছে খুদের দল। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
বইমেলা শুরু হল শহর মেদিনীপুরে। রবিবার বিকেলে বিদ্যাসাগর হলের মাঠে ‘মেদিনীপুর বইমেলা ও মৈত্রী উত্সব ২০১৭’-এর উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ, পুরপ্রধান প্রণব বসু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা প্রমুখ। প্রায় ৬৫টি স্টল রয়েছে মেলায়। এ দিন মেলা প্রাঙ্গণে এক বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও হয়। যোগ দেয় খুদেরা। বিকেল থেকে বইপ্রেমীদের ভিড় জমতে শুরু করে। মেলা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেদিনীপুরের এই বইমেলা কমিটির সম্পাদক অগমপ্রসাদ রায়, সভাপতি মুকুলরঞ্জন রায়রা আশাবাদী, “মেলায় এ বার প্রচুর মানুষ আসবেন।”
মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই মতো সব আয়োজন করা হয়েছে। প্রথম দিন যেমন ছিল মেদিনীপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘স্বর ও আবৃত্তি’-র অনুষ্ঠান। আজ, সোমবার রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় এবং কমার্স কলেজের সাংস্কৃতিক দল অনুষ্ঠান করবে। কাল, মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ এবং গড়বেতা কলেজের সাংস্কৃতিক দল অনুষ্ঠান করবে। পরশু, বুধবার লোকশিল্পীদের অনুষ্ঠান রয়েছে। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুধীন্দ্রনাথ বাগ, কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, “মেলার সবদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। আশা করি, এ বার মেলা ভালই হবে। সামনের দিনগুলোয় আরও বেশি জনসমাগম হবে।’’
শীত পড়লেই শহরে মেলা শুরু হয়। এ বার তার অন্যথা হয়নি। দিন কয়েক আগে এই বিদ্যাসাগর হলের মাঠেই সবলা মেলা হয়েছে। পরে ক্ষুদ্রশিল্পের মেলাও হবে।
তবে বইমেলাটা যেন একটু অন্য রকমই। এখানে যে নতুন বইয়ের গন্ধ মিশে থাকে।
মেলায় মাদার টেরিজাকে নিয়ে এক প্রদর্শনী রয়েছে। যেখানে মাদার টেরিজার বিভিন্ন ছবি রয়েছে। তাঁর ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার বিভিন্ন সময়ের ছবি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাদার টেরিজাকে স্মরণ করে এক নৃত্যানুষ্ঠানও হয়। গত বছর মেদিনীপুরের এই বইমেলায় সামান্য হলেও নোটের চোটের প্রভাব পড়েছিল। পরিস্থিতি দেখে মেলার মাঠে পিওএস মেশিন বসানো হয়েছিল। নগদের টানে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বইমেলার উদ্যোক্তাদেরও। বইমেলা কমিটির এক সদস্য বলছিলেন, “এ বার অবশ্য তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। ভাল ভাবেই সব আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।” বইমেলায় লোক টানতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না উদ্যোক্তারা। মেদিনীপুরের একাধিক এলাকায় তোরণ হয়েছে। মাইকে প্রচারও হয়েছে। বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, “আশা করি, এ বার মেলা গমগমই করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy