গড় রক্ষা হয়নি ঠিকই। কিন্তু অধিকারী গড় দক্ষিণ কাঁথিতে আধিপত্য বজায় রইল সেই অধিকারীদেরই। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ কাঁথি-সহ খেজুরি, রামনগর ও উত্তর কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে গতবারের থেকে ভোটের ব্যবধানও বাড়িয়েছে তৃণমূল।
দক্ষিণ কাঁথি কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী এই নিয়ে জিতলেন পরপর তিনবার। দক্ষিণ কাঁথির বিধানসভা ভোটের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। তিনি ৩৩,৭৬৭ ভোটে সিপিআইয়ের উত্তম প্রধানকে হারান। বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের ভোটগননা কেন্দ্র থেকে বের হতেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দিব্যেন্দুকে সবুজ আবির মাখিয়ে দেন। দিব্যেন্দুবাবু তাঁর এই জয় দক্ষিণ কাঁথির মানুষকেই উৎসর্গ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন। শুধু দক্ষিণ কাঁথি নয়, সারা রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সারা রাজ্যে উন্নয়নের যে জোয়ার চলছে তার পক্ষেই রায় দিয়েছেন।’’
দিব্যেন্দু অধিকারী ছাড়া খেজুরির রণজিৎ মণ্ডল, উত্তর কাঁথির বনশ্রী মাইতি ও রামনগর কেন্দ্রের বিজয়ী তৃণমুল প্রার্থী অখিল গিরিও তাঁদের জয়কে উন্নয়নের জয় বলেই উল্লেখ করেছেন। তিন বিজয়ী প্রার্থীর কথায়, “বিরোধীরা নিজেদের জোটকে মানুষের জোট বলে অভিহিত করলেও রাজ্যের মানুষ যে তাদের সঙ্গে নেই সেটা ভোটের ফলে প্রমাণিত।’’
রামনগর কেন্দ্রের পরাজিত সিপিএম প্রার্থী ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ বলেন, ‘‘শাসক দলের ভয়ভীতি আর নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই আমরা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারিনি। মানুষের এই রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। মানুষের স্বার্থেই আগামীদিনেও মানুষের পাশে থেকেই লড়াই চালাব, এটুকু বলতে পারি।”