পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার ঘাটাল শহরের বাসিন্দারা। এমনিতেই শহরে টাইম কলের সংখ্যা কম। সিংহভাগ বাড়িতেই পুরসভার জলের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু গত তিন-চার দিন ধরে শহরের টাইম কল থেকে জল পড়ছে সুতোর মতো। জলের চাপ না থাকায় বাড়িতেও ঠিকঠাক জল পৌঁছাচ্ছে না। ফলে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট তৈরি হয়েছে গোটা শহর জুড়ে। সমস্যার কথা মানছে ঘাটাল পুরসভাও। চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের সাফাই, “জলের স্তর নেমে যাওয়ায় শহরে পানীয় জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এতে আমার কী করার আছে?”
গ্রীষ্মের পানীয় জলের সমস্যা নতুন ঘটনা নয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে গোয়ালতোড়, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা রোডের মতো লাল-কাঁকুরে মাটিতে জলের স্তর নেমে যাওয়ায় পানীয় জলের সমস্যায় ভোগেন জেলার বিভিন্ন ব্লকের বাসিন্দারা। তা বলে বন্যা প্রবণ ঘাটালে একই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুরসভাকেই দুষছেন শহরের বসিন্দা থেকে কাউন্সিলররাও।
সূত্রের খবর, ঘাটাল শহরের উপর দিয়েই বয়ে চলছে শিলাবতী নদী। নদীতে জলও আছে যথেষ্ট। গত বর্ষাতেও ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শহরের বাসিন্দাদের প্রশ্ন, “যে শহরে তিনমাস জলে ডুবে থাকে, সেখানে জলের কষ্ট কেন হবে? পুরসভার উদাসীনতা এবং নজরদারির অভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
ক’দিন ধরেই শহরের আড়গোড়া, শুকচন্দ্রপুর, কৃষ্ণনগর,কুশপাতা, গোবিন্দপুর, ফেরিঘাট, কোন্নগরের বিভিন্ন এলাকায় টাইম কলে জল পড়ছে না। জলও পড়ছে সুতোর মতো। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা অষ্টমী পাল, মনোরমা সাহারা বলেন, “বাড়িতে জলের সংযোগ রয়েছে। পুরসভার জলই ভরসা। ক’দিন দিনে একঘন্টা করে জল দিচ্ছে না।”
পুরসভা সূত্রের খবর, জলের সমস্যা মেটাতে ঘাটাল শহরে এখন পাঁচ-পাঁচটি জলাধার ও কুড়িটি পাম্প হাউসও রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে বা লো-ভোল্টেজ থাকলে যাতে জলের সমস্যা তৈরি না হয়-তার জন্য দু’দুটি জেনারেটরও রয়েছে। পুরসভা সূত্রেরই খবর, ঘাটাল শহরে দৈনিক জলের চাহিদা ১৪ লক্ষ ৬৬ হাজার গ্যালন। এখন ক’দিনে ১০ লক্ষ গ্যালন জলও সরবারহ হচ্ছে না। পুরসভার চেয়ারম্যান বিভাস ঘোষের উত্তর, ‘‘গ্রীষ্মকালে জলকষ্ট হবে। এটাই তো স্বাভাবিক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy