প্রতীকী ছবি।
গোটা হলদিয়া মহকুমা জুড়ে মাইকের দাপটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সারারাত ধরেই বিভিন্ন ক্লাবের ও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাইক বাজার রেওয়াজ ইদানীং বেড়ে গিয়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কেও রেওয়াত করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশকে জানালে তারাও পদক্ষেপ করে না বলে অভিযোগ। এ বার তাই মাইকের দাপট কমাতে এগিয়ে এল মহকুমা প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে প্রশাসনিক মিটিংয়ে শব্দের অত্যাচার নিয়ে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও কিছু উপলক্ষে যথেচ্ছ মাইক, ডিজে বাজানো নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘কেউ আনন্দ করতে চাইলে ঘর বন্ধ করে যত খুশি মাইক বাজান। কিন্তু রাস্তায় নয়। একজনের আনন্দ যেন অন্যের দুঃখের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।’’ এর জন্য পুলিশকেও যথাযথ পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি।
হলদিয়ার মহকুমা শাসক পূর্ণেন্দু নস্কর জানান, বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনগুলিকে মাইক বাজানোর অনুমতি নিতে হয়। এ বার সেই অনুমতিপত্রে মুচলেকা দিতে হবে কী কী ধরনের মাইক বাজানো হবে। মুচলেকায় সময়সীমা এবং কোন সংস্থার মাইক নিচ্ছেন তাও আগাম লিখে দিতে হবে। নিয়ম ভাঙলে মাইক সরবরাহকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহকুমাশাসক আরও জানিয়েছেন, হলদিয়া মহকুমা পুলিশের সঙ্গে যৌথ কমিটি তৈরি করে বিষয়টি মনিটরিং করা হবে। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা জানান, অনেক সময় নিয়ম না মেনেই মাইক বাজানোর অভিযোগ আসে। কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন মাইক তুলে আনলে অন্য সমস্যা হতে পারে তাই অভিযোগ পেয়েও পদক্ষেপ করা যায় না। তবে নতুন নিয়মে লাগাম প্রশাসনের হাতে থাকবে। মাইক সরবরাহকারীকে মাইক দেওয়ার সময়ই সতর্ক করা হবে। অভিযোগ পেলে পুলিশ ও প্রশাসনের টিম গিয়ে খতিয়ে দেখবে এবং এবং মাইক সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে সমস্ত ক্লাব বা সংস্থা নিয়ম মেনে মাইক বাজাবে না তাদের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসন কড়া হবে জানা গিয়েছে। মহকুমায় মাইক কারা সরবরাহ করেন এবং কী কী ধরনের মাইক রয়েছে সে বিষয়ে চূড়ান্ত তালিকা পেতে সরবরাহকারী সংস্থার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। শব্দদূষণে নাজেহাল পুরবাসী এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে একই সঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা, প্রশাসন যতটা গর্জাচ্ছে ততটা বর্ষাবে তো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy