E-Paper

কমেছে অনুমোদিত বালি খাদান, চলছে পাচার

ঝাড়গ্রাম ব্লকে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে রাতের অন্ধকারে বালি তোলা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৪ ০৯:০১
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ঝাড়গ্রাম জেলায় এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত বালির খাদান। কমতে কমতে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মাত্র দুই। খাদানের সংখ্যা কমায় রাতের অন্ধকারে বেআইনি ভাবে একাধিক জায়গা থেকে তোলা হচ্ছে বালি। জেলা জুড়ে অভিযান চালাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

রবিবার রাতে ঝাড়গ্রাম ব্লকের গড়মোহন এলাকায় কংসাবতী নদীর নুড়ি (স্থানীয় ভাষায় গুটি) পাচারের সময় হাতেনাতে ধরেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, প্রতিদিন রাতেই গুটি ও বালি বোঝাই করে মাফিয়া। এ দিন খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা গুটি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করেন। মানিকপাড়া বিট হাউসে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই ট্রাক্টরের চালক পালিয়ে যান।

ঝাড়গ্রাম ব্লকে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে রাতের অন্ধকারে বালি তোলা হচ্ছে। কোথাও এক জায়গায় বালি তোলার অনুমতিপত্র (সিও) দেখিয়ে পাশাপাশি জায়গা থেকে তা তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগে জেলায় অনেক খাদান ছিল। কিন্তু এখন খাদানগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’

জেলায় দু’টি সরকার অনুমোদিত বালি খাদান রয়েছে। একটি গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে। অন্যটি বিনপুর-১ ব্লকে। বাকি খাদান অনুমোদনহীন। এই জেলার কংসাবতী ও সুবর্ণরেখা নদীর বিভিন্ন ব্লক থেকে বালি তোলা হয়। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রাম জেলায় এক সময় ৭৩টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত খাদান ছিল। কয়েক বছর আগে ১২৮টি বালি খাদান অনুমোদন দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু পরিবেশ বিষয়ক ছাড়পত্র না মেলায় প্রক্রিয়াটি আটকে যায়। গত এক বছরে খাদানগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

বালি খাদানের অনুমতি দেওয়ার প্রক্রিয়াটিও বদলে গিয়েছে। আগে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি দিত। এখন ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলেপমেন্ট অ্যান্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে গোটা রাজ্যের বালি খাদানের অনুমোদন মেলে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে খবর, আগে সর্বাধিক ৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে হত খাদান। যার ফলে অনেক সময় সরকার অনুমোদিত জায়গা ছাড়াও অন্য জায়গা থেকে বালি তোলার অভিযোগ উঠত। নতুন করে যে সব বালি খাদানের দরপত্র হচ্ছে সেগুলি বড় মাপের খাদানের জন্য। বালি খাদানের আয়তন হবে ১৫-২৫ হেক্টর। কিন্তু খাদান চালু না হওয়ায় আগের খাদানগুলি থেকেই রাতের অন্ধকারে বালি তোলা চলছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে বালি তোলা হলে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jhargram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy