Advertisement
E-Paper

এ ওয়ানের ঝুলিতেও সবেধন বোর্ড

দক্ষিন-পূর্ব রেলের ‘এ-ওয়ান’ ক্যাটাগরির রেলস্টেশন খড়্গপুরে প্রতিদিন এমন যাত্রী ভোগান্তির ছবি সামনে আসছে। আর তার পিছনে কারণ হচ্ছে সামান্য ট্রেন চলাচলের ডিসপ্লে বো

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮ ০১:৩৬
খড়্গপুর স্টেশনের বোগদার দিকে রয়েছে একমাত্র ইলেকট্রনিক্স ডিসপ্লে বোর্ড। নিজস্ব চিত্র

খড়্গপুর স্টেশনের বোগদার দিকে রয়েছে একমাত্র ইলেকট্রনিক্স ডিসপ্লে বোর্ড। নিজস্ব চিত্র

বিশ্বমানের স্টেশন। চালু হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক্স ইন্টারলকিং ব্যবস্থাও। অথচ ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্মে, কখন আসবে সেই বিভ্রান্তিতে রোজই খড়্গপুরে স্টেশনে হয়রানির শিকার হন রেলযাত্রীরা।

দিন কয়েক আগে কলকাতা যেতে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস ধরতে খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছেছিলেন ভবানীপুরের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী অরিন্দম কর্মকার। স্টেশনের উত্তর দিকের মালগুদামের টিকিট কাউন্টার থেকে ফুটব্রিজ হয়ে পৌঁছেছিলেন ৫-৬ নম্বর স্টেশনের মধ্যবর্তী অংশে। দাঁড়িয়েছিলেন ফুটব্রিজেই। ট্রেন আসতে দেরি করায় অরিন্দম চেষ্টা করছিলেন ট্রেন ইন্ডিকেশন ডিসপ্লে বোর্ড দেখার। কিন্তু গোটা ফুটব্রিজে ডিসপ্লে বোর্ড অমিল। প্ল্যাটফর্ম থেকে মালগুদামের টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত কোথাও ডিসপ্লে বোর্ড নেই। অগত্যা ছুটলেন স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে বোগদার টিকিট কাউন্টারের কাছে। সেখানে একটি ডিসপ্লে বোর্ড রয়েছে। ততক্ষণে অবশ্য পুরুলিয়া এক্সপ্রেস কোন স্টেশনে আসবে তা লিখে দিয়েছে। ছুটে প্ল্যাটফর্মে যখন অরিন্দম পৌঁছলেন ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। শেষমেশ পরের লোকাল ট্রেনেই যেতে হল ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মীকে।

দক্ষিন-পূর্ব রেলের ‘এ-ওয়ান’ ক্যাটাগরির রেলস্টেশন খড়্গপুরে প্রতিদিন এমন যাত্রী ভোগান্তির ছবি সামনে আসছে। আর তার পিছনে কারণ হচ্ছে সামান্য ট্রেন চলাচলের ডিসপ্লে বোর্ড। এই স্টেশনের উত্তরদিকের মালগুদাম সংলগ্ন টিকিট কাউন্টারের কাছে কোনও ট্রেন ইন্ডিকেশন ডিসপ্লে বোর্ড নেই। ওই দিক থেকে স্টেশনে পৌঁছনো যাত্রীরা ট্রেন কখন আসবে তা জানতে মাইকের ঘোষণার ওপর নির্ভর করেন।

আর অধিকাংশ সময়ে মাইকের ঘোষণাও স্পষ্ট না হওয়ায় বিভ্রান্তি আরও বাড়ে যাত্রীদের। তাই সকলেই ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্মে আসছে তা ডিসপ্লে বোর্ডে দেখতে চায়। কিন্তু যাত্রীরা হতাশ। খড়্গপুরের মতো রেল স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে বোগদা টিকিট কাউন্টার পাশে সাবওয়ের ছাদের ওপরে একটি ডিসপ্লে ‘সবেধন নীলমনি’। ফলে বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার টিকিট। একসময়ে এই স্টেশনের সাবওয়েতে নামতেই বড় একটি ট্রেন ইন্ডিকেশন ডিসপ্লে বোর্ড ছিল।

এ ছাড়াও প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে নামার মুখে ফুটব্রিজে ছিল ছোট-ছোট ডিসপ্লে বোর্ড। কিন্তু স্টেশনের মানোন্নয়ন হলেও রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে একের পর এক ডিসপ্লে বোর্ড বিকল হয়ে গিয়েছে।

রেল যাত্রী পল্লবী দাসের কথায়, “মহিলা যাত্রীদের কথা ভেবেও কী রেল ডিসপ্লে বোর্ড লাগাতে পারে না? অনেক মহিলা যাত্রী দূর-দূরান্ত থেকে এই স্টেশনে আসেন। তাঁদের পক্ষে বোগদায় থাকা ডিসপ্লে বোর্ড দেখে আট নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ধরতে ছোটা সম্ভব!” এখন ফুটব্রিজে থাকা বিকল ডিসপ্লে বোর্ডগুলিও তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে নতুন ডিসপ্লে বোর্ড লাগানো হবে কি না প্রশ্ন

করছে যাত্রীরা।

Train
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy