প্রতীকী ছবি।
জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল চার বছর আগে। অথচ এই চার বছরে নতুন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। যার ফলে এই সময়ে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে যাঁরা অবসর নিয়েছেন সেই সমস্ত পদ শূন্যই রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ৩২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৪০০টিতে স্থায়ী প্রধানশিক্ষক নেই বলে অভিযোগ। এই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষকেরা। শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, স্থায়ী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় এইসব বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষকেরা কয়েকবছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেও তাঁরা কিন্তু প্রধান শিক্ষক হিসেবে বেতন পাচ্ছেন না। ফলে আর্থিক দিক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
জেলার শিক্ষক সংগঠনগুলির দাবি, যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য সেখানে দ্রুত স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। প্রায় ১৪০০টি বিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রধানশিক্ষকের পদ শূন্য থাকার কথা স্বীকার করেছেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানসকুমার দাস। তিনি বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য শূন্য পদের তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এলে শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।’’
বিদ্যালয় সংসদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ৩২৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। এর মধ্যে বর্তমানে প্রায় ১৮০০ বিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক থাকলেও বাকিগুলিতে নেই। শিক্ষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, জেলায় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে সর্বশেষ নিয়োগ হয়েছিল ২০১৪ সালে। তারপর আর নিয়োগ হয়নি। প্রতি বছর গড়ে ৩৫০-৪০০ জন প্রধান শিক্ষক অবসর নেওয়ায় বর্তমানে প্রায় ১৪০০ স্কুলে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নেই। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাহুর অভিযোগ, ‘‘প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সহ-শিক্ষকদের অনেকের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা থাকলেও চার বছর নিয়োগ বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে শূন্য পদে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে বিদ্যালয় সংসদে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’’
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, ‘‘চার বছর আগে ৩৬২ জন স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তারপর আর হয়নি। তাই সহ-শিক্ষিকদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছি।’’
তৃণমূল প্রাইমারি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি নীলকান্ত অধিকারী বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য বিদ্যালয় সংসদ এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রীও এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy