গত মাসে জেলায় এসে কাজকর্মের অগ্রগতি দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব সরকারি পরিষেবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্দেশও দিয়ে যান তিনি। রবিবার মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভাতেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পরিষেবা দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।
বর্ধিত সভায় দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি নির্দেশ দেন, কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে বিধায়ক, দলের ব্লক সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতিদের উদ্যোগী হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি। সব ঠিক থাকলে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৃণমূলের এক সূত্রের মতে, এই জন্যই গ্রামস্তরে সরকারি পরিষেবা দ্রুত পৌঁছনো নিশ্চিত করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দলের বৈঠকে সরকারি প্রকল্পগুলোর কাজকর্মের মূল্যায়ন যে হয়েছে তা মানছেন অজিতবাবু। তাঁর কথায়, “কোন ব্লকে কোন প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ, কতটা শ্লথ, তা জানিয়ে দিয়েছি। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সব কিছু বলেছি। বিধায়ক, দলের ব্লক সভাপতিদের বিষয়টি দেখতে বলেছি। কাজ ফেলে রাখা যাবে না।” পরিসংখ্যান পেশ করার সময়ে অজিতবাবু দেখেন, খড়্গপুর- ১ ব্লকে আবাস যোজনার প্রায় ৩০০টি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি। পাশেই ছিলেন খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দীনেন রায়। অজিতবাবু বিষয়টি দীনেনবাবুকে দেখার নির্দেশ দেন। জেলা সভাপতির প্রশ্ন, কেন এতগুলো বাড়ি তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। দীনেনবাবু জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি ইতিমধ্যে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা এবং জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ দিনের সভায় দলের জেলা সভাপতি অজিতবাবু জানিয়ে দেন, পড়ে থাকা কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে। কেন কাজ পড়ে রয়েছে, সমস্যা কোথায়, সমস্যার সমাধানে কী করণীয়, সেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে ব্লকস্তরেই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এ দিন মেদিনীপুরে জেলা তৃণমূলের এই বর্ধিত সভায় ছিলেন দলের বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, অঞ্চল প্রধান থেকে দলের ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতিরা। বুথস্তরে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy