প্রস্তুতি সারা। নিজস্ব চিত্র
পুরনো রথ রং করা থেকে মন্দির পরিষ্কার— শনিবার ডেবরার মাড়োতলার দত্ত পরিবারে ছিল সাজ সাজ রব। শুধু দত্ত বাড়ি নয়, গ্রামেরও অনেকেও হাত লাগান প্রস্তুতিতে। রাত পোহালেই যে রথযাত্রা।
পঁয়তাল্লিশ বছর আগে দত্ত পরিবারের সদস্য প্রয়াত গৌরহরি দত্ত ও অজিত দত্তের উদ্যোগে এই রথযাত্রার সূচনা। এখন অবশ্য তাঁদের উত্তরসূরীরা এই রথযাত্রা পরিচালনা করেন। রথে দত্ত পরিবারের অষ্টধাতুর রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ এলাকা পরিভ্রমণ করে। পুরোহিতের নিয়ে আসা শালগ্রাম শিলাও তোলা হয় রথে। আজ, রবিবার রথের দিন সকাল থেকে চলবে পুজার্চনা। পারিবারিক উদ্যোগে রথযাত্রার সূচনা হলেও এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও। রথের দিন গোপীকাথিতে রথ ময়দানে বসে মেলাও।
দত্ত বাড়ি থেকে গোপীকাথি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় ২০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট রথ। রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য ভিড় করেন কয়েকশো মানুষ। রথ উপলক্ষে গোপীকাথিতে শুরু হয়েছে মেলার প্রস্তুতিও। একইসঙ্গে শনিবার দিনভর দত্তবাড়িতেও চলেছে কাঠের রথে রং করার কাজ। সাজানো হয়েছে মন্দির। দত্ত পরিবারের সদস্য দেবব্রত দত্ত বলেন, “একসময় রথের দিনে আমাদের পারিবারিক পুজো হত। বাবা-জেঠুরা শুরু করেছিলেন এই রথযাত্রা। এখনও আমরাই রথের যাবতীয় আয়োজন করি। সব রকম পুরনো আচার মেনেই রথযাত্রা পালিত হয়।’’ পরক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এখন এই রথযাত্রা সর্বজনীন রূপ নেওয়ায় খুব ভাল লাগে।”
বছরভর রথযাত্রার জন্য দিন গোনে মাড়োতলার বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত পাল বলেন, “ছোট থেকে এই রথযাত্রা দেখে আসছি। সত্যি বলতে এই রথ দত্ত পরিবারের পারিবারিক রথযাত্রা হলেও ব্লকের লোকেদের আবেগও এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এখন তো রথের মেলায় ভালরকম ভিড় হয়। আমাদের ধারণা, এ বারও অন্তত ১০ হাজার মানুষ ভিড় করবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy