Advertisement
১৮ মে ২০২৪

গোপ কলেজের প্রশংসায় ন্যাক প্রতিনিধিরা

পরিদর্শনে এসে মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রশংসা করলেন ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন’ (ন্যাক)-এর প্রতিনিধিরা। মেদিনীপুর গোপ কলেজ হিসেবে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান সামাজিক উন্নয়নে যে ভাবে এগিয়ে এসেছে, মূলত তারই তারিফ করে ন্যাকের পরিদর্শক দল।

অধ্যক্ষর সঙ্গে আলাপচারিতা।

অধ্যক্ষর সঙ্গে আলাপচারিতা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৩
Share: Save:

পরিদর্শনে এসে মেদিনীপুরের রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রশংসা করলেন ‘ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন’ (ন্যাক)-এর প্রতিনিধিরা। মেদিনীপুর গোপ কলেজ হিসেবে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠান সামাজিক উন্নয়নে যে ভাবে এগিয়ে এসেছে, মূলত তারই তারিফ করে ন্যাকের পরিদর্শক দল।

তিনদিনের পরিদর্শনের শেষ দিন ছিল শনিবার। পরিদর্শন চলাকালীন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়েই এ দিন কলেজের সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার প্রসঙ্গটি সামনে আনেন তিন সদস্যের পরিদর্শক দলের প্রধান, কর্নাটক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডঃ এস কে সাইদাপুর। তাঁর মতে, “সকলকেই সমাজের কথা ভাবতে হবে।”

মেদিনীপুরের এই মহিলা কলেজে এটা ছিল ন্যাকের তৃতীয়বার পরিদর্শন। এর আগে ২০০৪ এবং ২০১১ সালে পরিদর্শনের পরে দু’বারই ন্যাকের ‘এ’ গ্রেড পেয়েছিল এই কলেজ। কলেজ-কর্তৃপক্ষের আশা, এ বার গ্রেড আরও বাড়বে।

কলেজ সূত্রে খবর, গতবার ন্যাকের দল যে সব পরামর্শ দিয়েছিল, তা ঠিকঠাক মানা হয়েছে কি না তা এ বার খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রতিনিধিরা ২৩টি বিভাগের সবক’টি পরিদর্শন করেছেন। ছাত্রী, অভিভাবক, বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেছে। কলেজের ‘কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট সেন্টার’ও ঘুরে দেখেন পরিদর্শকরা। ২০০৬ সালে চালু হওয়া এই সেন্টারে কম্পিউটার, স্পোকেন ইংলিশের বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স ছাড়াও এসএসসি, ডব্লুবিসিএসের মতো পরীক্ষার কোচিং দেওয়া হয়। সেন্টারের অধীনে আঁন্ত্রেপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট সেল (ই-সেল)-এর উদ্যোগে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তা ছাড়া, পিছিয়ে পড়া এলাকার মা ও শিশুদের পাশেও দাঁড়িয়েছে এই কলেজ। পিছিয়ে পড়া মুড়াডাঙার কয়েকজন ছেলমেয়েকে ‘দত্তক’ নিয়ে লেখাপড়া, আঁকা, নাচ-গান শেখাচ্ছেন কলেজ-কর্তৃপক্ষই। তাদের মায়েদেরও স্বনির্ভর করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সামাজিক উন্নয়নে কলেজের এই উদ্যোগেরই প্রশংসা করেন ন্যাকের পরিদর্শকরা।

কলেজ সূত্রে খবর, পরিকাঠামো-সহ ৭টি দিক বেশ ভাল ভাবেই খতিয়ে দেখেছে ন্যাকের দলটি। পাশাপাশি, ৮ দফা পরামর্শও দিয়েছে। এ দিন পরিদর্শনের রিপোর্ট কলেজের অধ্যক্ষা জয়শ্রী লাহার হাতে তুলে দেন পরিদর্শক দলের প্রধান। একই রিপোর্ট জমা পড়বে ইউজিসি-তে। এই রিপোর্ট দেখেই ইউজিসি-র এগ্‌জিকিউটিভ কাউন্সিল ‘গ্রেড’ নির্ধারণ করবে। অধ্যক্ষা জয়শ্রীদেবী বলেন, “এই কলেজকে রাজ্যের সেরা মহিলা কলেজ হিসেবে গড়ে তোলাই এখন আমাদের সকলের লক্ষ্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE