নতুন ঝাড়গ্রাম জেলার সদর শহরকে ঢেলে সাজার জন্য রাজ্যের কাছে ৭০ কোটি টাকা চেয়ে ১৪ দফা উন্নয়ন-প্রকল্পের প্রস্তাব জমা দিয়েছে ঝাড়গ্রাম পুরসভা। প্রকল্পগুলি মঞ্জুর হলে অরণ্যশহরের চেহারা বদলে যাবে বলে দাবি পুর-কর্তৃপক্ষের। সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি, ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন পুর-নাগরিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদী পুর-কর্তৃপক্ষ।
ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে যাওয়ায় আড়ে-বহরে বাড়তে শুরু করেছে অরণ্যশহর। ২০১১ সালের সর্বশেষ আদমসুমারি অনুযায়ী শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬২ হাজার। পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ছ’বছরে শহরের জনসংখ্যা বেড়ে ৯০ হাজারের কাছাকাছি হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ায় শহরে একাধিক নাগরিক পরিষেবা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে পুরসভা। সম্প্রতি তিন পাতার এক পরিকল্পনাপত্রে এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব। এ জন্য রাজ্যের পুর বিষয়ক ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে ১৪টি প্রকল্পের জন্য ৭০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
১৪ দফা পরিকল্পনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ কোটি টাকার একটি সুইমিং পুল, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ কোটি টাকার একটি অডিটোরিয়াম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ কোটি টাকার একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ কোটি টাকার ইকো পার্ক, এছাড়া ১০, ১১ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ কোটি টাকা খরচ করে করে তিনটি বিনোদন পার্ক, ১০ কোটি টাকায় শহরের মেন রোড-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির সৌন্দর্যায়ন, শহরের সমস্ত রাস্তায় এবং পাবলিক প্লেসে ১০ কোটি টাকা খরচ করে স্ট্রিট লাইট, সাড়ে ৪ কোটি টাকায় শহরের তিনটি প্রবেশ তোরণ, লাড়ে ৪ কোটি টাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেহেরা বাঁধ এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবিত্রী পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন।
নতুন জেলা ঝাড়গ্রামের উন্নয়নের জন্য সামগ্রিক ভাবে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভার মতে, নতুন জেলার একমাত্র পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকাঠামো ও নানা পরিষেবা ঢেলে সাজতে ও গড়তে পৃথক বরাদ্দের প্রয়োজন। এক পুরকর্তা বলেন, “জেলা শহরের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রয়োজন। সে বিষয়ে পুরপ্রধান রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy