Advertisement
১১ মে ২০২৪

সদ্যোজাত কন্যার নামে লাগানো হবে গাছের চারা

বাল্য বিবাহ রুখতে বন দফতরের নতুন উদ্যোগ ‘কন্যাসাথী’। এই প্রকল্পে জন্মের পর সদ্যোজাত মেয়ের নামে নিখরচায় ৫টি গাছের চারা দেবে বন দফতর। ১৮ বছর পর মিলবে গাছ কাটার অনুমতি। শর্ত, ততদিন মেয়েটির বিয়ে দেওয়া চলবে না। ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হলে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হবে না।

পুস্তিকা প্রকাশ। নিজস্ব চিত্র।

পুস্তিকা প্রকাশ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৬
Share: Save:

বাল্য বিবাহ রুখতে বন দফতরের নতুন উদ্যোগ ‘কন্যাসাথী’।

এই প্রকল্পে জন্মের পর সদ্যোজাত মেয়ের নামে নিখরচায় ৫টি গাছের চারা দেবে বন দফতর। ১৮ বছর পর মিলবে গাছ কাটার অনুমতি। শর্ত, ততদিন মেয়েটির বিয়ে দেওয়া চলবে না। ১৮ বছরের মধ্যে বিয়ে হলে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হবে না। বন দফতরের মেদিনীপুর ডিভিসনের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “একটি আকাশমণি বা সেগুন গাছ ১৮ বছর পর কাটলে ন্যূনতম আড়াই লক্ষ টাকা দাম হবে। গাছ বিক্রির টাকা বিয়েতেও খরচ করতে পারেন আবার উচ্চশিক্ষাও নিতে পারেন।”

‘কন্যাশ্রী’-র পাশাপাশি ‘কন্যাসাথী’ প্রকল্প একসঙ্গে চললে বাল্য বিবাহ অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে বলে প্রশাসনের দাবি। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা মেলে স্কুলে ভতির্র পর। আর কন্যাসাথীর সুবিধা মিলবে কন্যার জন্মের পর থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত। জন্মের পর থেকে ২ বছরের মধ্যে অভিভাবক বন দফতরে আবেদন জানালেই তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হবে। দেওয়া হবে একটি কার্ড ও পাঁচটি গাছের চারা (আকাশমণি বা সেগুন)।

প্রতি ৫ বছর অন্তর কার্ড নবীকরণ করতে হবে। জানাতে হবে গাছের অবস্থা কেমন। মেয়ের বয়স ১৮ পার হলে কার্ড দেখিয়ে গাছ কাটার অনুমতি চাইলেই অনুমতি দিয়ে দেবে বন দফতর। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে বৃহস্পতিবার। ওইদিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে যত কন্যা সন্তানের জন্ম হবে ততজনের নামেই তৈরি করা হবে কার্ড। দেওয়া হবে গাছের চারাও।

এ ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরাও সর্বতোভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বন দফতরকে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্রবাবু বলেন, “এই ধরনের প্রকল্পে কন্যাসন্তানেরা উৎসাহিত হবে বলেই আমার ধারণা। কোন হাসপাতালে কত কন্যা সন্তানের জন্ম হচ্ছে, সেই পরিসংখ্যান জানানোর পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সেরা যাতে অভিভাবকদের এই প্রকল্প সম্বন্ধে সচেতন করে দেন সেই ব্যাপারেও সাহায্য করব।”

আগামী ১৪-২০ জুলাই চলবে বনমহোৎসব। এই উপলক্ষে জেলা জুড়ে প্রায় ৮ লক্ষ গাছ লাগানো হবে। ডিএফও রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “গাছগুলি যাতে গরু, ছাগলে না খেতে পারে সে জন্য ঘেরাটোপ প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি কারও স্মৃতির উদ্দেশে ঘেরাটোপ বানিয়ে দিলে, তাঁদের নাম লিখে দিতে পারবেন। তা না মিললে পুরসভাকেই ঘেরাটোপের ব্যবস্থা করতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE