সাগর-সৈকতে: শনিবার থেকেই ভিড় পর্যটকদের। নিজস্ব চিত্র
ম্যানেজ করতে হবে চলতি মাসের দু’টো দিন, ৮ ও ১১ মে। তা হলেই হাতে টানা ৯ দিনের ছুটি। আর তাই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির পোয়াবারো। একটানা ছুটি পেয়ে এবং প্রচণ্ড গরমে হাঁপ ছাড়তে সকলেই ছুটিতে যে যার মতো ঘোরার ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন। আর হাতের কাছে রেডিমেড দিঘা, মন্দারমণি তো রয়েইছে। আর তাই শনিবার থেকেই দিঘা, মন্দারমণিতে ভিড় জমতে শুরু করেছে পর্যটকের। টানা ছুটির বাজারে হোটেল মালিকদেরও পৌষমাস। বহু হোটেলেই ঘর অমিল। আবার ঘর পাওয়া গেলেও ভাড়া বেশ চড়া। এমনটাই দাবি পর্যটকদের।
৬ মে, শনিবার রাজ্য সরকারি দফতরের ছুটি। ৭ মে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ মে মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর ছুটি। ১০মে বুধবার বুদ্ধপূর্ণিমা। ১২ মে শুক্রবার সবেবরাতের ছুটি । ১৩ মে ফের শনিবার, রাজ্য সরকারি দফতরগুলির ছুটি। ১৪মে রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে শনিবার থেকেই দিঘা, মন্দারমণি ভিড়ে ঠাসা। দিঘা যাওয়ার ট্রেনের রিজার্ভেশন ইতিমধ্যে শেষ। একই অবস্থা হোটেলগুলোর। বেশিরভাগ হোটেলেই ঠাঁই ঠাঁই নেই অবস্থা। ওল্ড দিঘার এক বেসরকারি হোটেলে এসেছেন কোচবিহারের অজয় লোহার। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক আগে থেকে হোটেল বুকিং ছিল। তাই বেঁচে গিয়েছি। যা ভিড় দেখছি, দেরি করলে হয়তো ঘরই পেতাম না।’’
দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, “অধিকাংশ হোটেলের বুকিং শেষ। তবে পর্যটকদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যাক্তি হোটেল মালিকদের বদনাম করতে বেশি টাকা দাবি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে ক্ষেত্রে পর্যটকরা আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
টানা ছুটির কারণে দিঘায় পর্যটকদের ভিড়ের কথা ভেবে ইতিমধ্যেই প্রশাসন নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সৈকতে টহলদারি পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। পাশেই ওড়িশার সীমানা। ভিড়ের সুযোগ যাতে দুষ্কৃতীরা না নিতে পারে সে জন্য দিঘায় সমস্ত যানবাহনের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “বাড়তি ভিড়ের জন্য সব সরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy