দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম রিসার্চ সেন্টারে শুকনো হচ্ছে তিমির হাড়গোড়। — সোহম গুহ।
কথা ছিল পুজোর আগেই পর্যটকদেরজন্য দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে তিমির কঙ্কাল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু শুধু পুজো কেন, আগামী অক্টোবর মাসে এই প্রদর্শনাশালা আদৌ চালু করা যাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
সম্প্রতি দিঘা মোহনায় মাটি খুঁড়ে তুলে আনা তিমির দেহাবশেষের কঙ্কালটি দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের প্রদর্শনশালায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিঘায় জেডএসআইয়ের রজত জয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সংস্থার অধিকর্তা কৈলাশ চন্দ্র জানিয়েছিলেন, “পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হবে এই কঙ্কালটি। আবার সমুদ্র বিজ্ঞান ও জীব বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবেন।” কথা ছিলস পুজোর আগেই চালু করা হবে কঙ্কালটির প্রদর্শন।
কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যত্র। দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ও আধিকারিক অনিল মহাপাত্র জানিয়েছেন, বৃষ্টির জেরে তিমির হাড় পরিষ্কার ও শুকনো করার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড দিয়ে তিমির হাড়ের টুকরোয় লেগে থাকা মাংস পরিষ্কার করা গেলেও তা শুকোতে দেরি হচ্ছে। বিভিন্ন রাসায়নিক হাড়ে মিশিয়ে সূর্যের আলোয় শুকনো করে হাড় জোড়া লাগানোর কাজ শুরু করা হবে। সম্প্রতি টানা বৃষ্টি আর মেঘলাআবহাওয়ার জন্য সেই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অনিলবাবু জানান, রাসায়নিক মিশিয়ে হাড় শুকনো করা ও হাড় জোড়া লাগাতে কমপক্ষে আরও দু’-আড়াই মাস লাগবে। যদিও দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের পক্ষ থেকে বেলিন প্রজাতির এই তিমির কঙ্কাল সংরকক্ষণের কাজ দ্রুতগতিতে করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
২০১২ সালে দিঘা মোহনা থেকে সমুদ্রে ৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে স্যান্ডহেডের কাছে মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলারের ট্রলনেট ওয়ার রোপে জড়িয়েছিল ৪৫ ফুট দীর্ঘ ও ১৮টন ওজনের তিমিটি। জুলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞরা তিমিটিকে বেলিন প্রজাতির বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে তিমি সংরক্ষণের কোনও পরিকাঠামো না থাকায় তিমিটিকে রাখা যায়নি।দিন দুই সৈকতে পড়ে থাকায় তিমিটির শরীরে পচন ধরে গিয়েছিল। দেহটি পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দিঘা মোহনার সৈকতেই ১৫ফুট মাটির নিচে। চার বছর পর অর্থাৎ চলতি বছরের গত ১৬ জুন দিঘা মোহনায় জুলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার এক বিশেষজ্ঞ দল মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy