লাল বাড়িটার পাঁজরে লেখা বহু ইতিহাস। বিপ্লবীদের গুলিতে ব্রিটিশ সরকারের প্রশাসনিক আধিকারিকের মৃত্যুরও সাক্ষী থেকেছে শতাব্দী প্রাচীন এই বাড়ি। যদিও অনাদরে মেদিনীপুর শহরে জেলা পরিষদের কার্যালয়ের এই বাড়ির পরতে পরতে আজ বার্ধক্যের ছাপ। বিতর্কের আশঙ্কায় বাড়ির আমূল সংস্কার থেকে হাত গুটিয়ে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীরপুর জেল পরিষদও।
পরাধীন ভারতে এই বাড়িতেই ছিল মেদিনীপুর জেলা বোর্ডের কার্যালয়। ১৯৩২ সালের ৩০ এপ্রিল এখানেই উন্নয়ন-বৈঠক চলাকালীন বিপ্লবীদের গুলিতে নিহত হন মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলাশাসক (কালেক্টর) আর কে ডগলাস। ১৮৯৯ সালে তৈরি ৮,৭১৯ বর্গফুটের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনটি এখন জেলা পরিষদের মূল প্রশাসনিক কার্যালয়।
জেলা পরিষদের এক আধিকারিক মানছেন, শতবর্ষ প্রাচীন বিপ্লবী আন্দোলনের স্মারক ভবনটিকে ঢেলে সাজা প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ইংরেজ আমলের লাল রঙের ভবনটির আমূল সংস্কার করতে গিয়ে যদি সমালোচনার মুখে পড়তে হয়! কার্যত এমন আশঙ্কায় জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ হাত গুটিয়ে রয়েছেন।