Advertisement
২১ মে ২০২৪

কেটেছে আট মাস, পাঁচিল-রাস্তাতেই থমকে শিল্পতালুক

শিল্পতালুক হবে গোয়ালতোড়ে— এই ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে আট মাস। কিন্তু কাজের অগ্রগতি বলতে শুরু হয়েছে সীমানা পাঁচিল দেওয়া। আর গোয়ালতোড় শহর থেকে প্রস্তাবিত শিল্পতালুক পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪০ কোটি টাকা।

নির্মাণ: প্রস্তাবিত শিল্পতালুকে চলছে পাঁচিলের কাজ। নিজস্ব চিত্র

নির্মাণ: প্রস্তাবিত শিল্পতালুকে চলছে পাঁচিলের কাজ। নিজস্ব চিত্র

সোমনাথ চক্রবর্তী ও অভিজিৎ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০৩:৪৯
Share: Save:

শিল্পতালুক হবে গোয়ালতোড়ে— এই ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে আট মাস। কিন্তু কাজের অগ্রগতি বলতে শুরু হয়েছে সীমানা পাঁচিল দেওয়া। আর গোয়ালতোড় শহর থেকে প্রস্তাবিত শিল্পতালুক পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪০ কোটি টাকা।

পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে কৃষি দফতরের অধীন দুর্গাবাঁধ বীজ খামারের জমিতে শিল্পতালুক তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র-সহ বেশ কিছু মন্ত্রী চাইছেন, এখানে অটো হাব তৈরি হোক। এ জন্য বীজ খামারের ১১০০ একর জমির মধ্যে ৯০০ একর রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাতে তুলে দিয়েছে কৃষি দফতর। তবে সে ভাবে কাজ এখনও এগোয়নি।

প্রশাসনের বক্তব্য, প্রাথমিক ভাবে শিল্প পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। সেই মতো গত বছর সেপ্টেম্বরে ভূমি ও পূর্ত দফতর জমির সীমানা চিহ্নিতকরণ শুরু করে। তার আগেই রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। এখন পূর্ত দফতরের তদারকিতে সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ চলছে। গোটা এলাকাটি ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের নিবার্হী বাস্তুকার প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাঁচিলের কাজ দ্রুত গতিতেই চলছে। এ ছাড়া নিকাশি, প্রস্তাবিত শিল্পতালুকের ভিতরে একাধিক রাস্তা তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”

পাশাপাশি গোয়ালতোড় শহর থেকে দুর্গাবাঁধ পর্যন্ত নতুন রাস্তার জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “ওই সড়ক ছাড়াও চন্দ্রকোনা রোড থেকে গোয়ালতোড় এবং দুর্গাবাঁধ থেকে গড়বেতা সড়কের উন্নতির জন্য ডিপিআর তৈরি হয়ে গিয়েছে। টাকা পেলেই কাজ শুরু হবে।” শিল্পোন্নয়ন নিগমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুধু পাঁচিল বা রাস্তা নয়, বিদ্যুতের আলাদা সাবস্টেশন তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। শিল্প গড়তে যাতে জলের সমস্যা না হয়, সে জন্য বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে পাইপের মাধ্যমে জল আনার চিন্তাও হচ্ছে।

পরিকাঠামো তৈরির তোড়জোড় শুরু হওয়ায় দুর্গাবাঁধে এখন নিয়মিত যাতায়াত করছেন শিল্পোন্নয়ন নিগম-সহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্তারা। তাই সে ভাবে কোনও শিল্প গোষ্ঠীর লোকজন আগ্রহ না দেখালেও আশায় বুক বাঁধছেন অখ্যাত এই জনপদের মানুষজন। কারণ, শিল্পতালুক মানেই বহু মানুষের কাজের সুযোগ। আর সেই সঙ্গে এলাকার অর্থনীতিতে জোয়ার। দুর্গাবাঁধ সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের যুবক হাবু মুর্মু, গোয়ালতোড়ের শহরের কলেজ পড়ুয়া সন্দীপ রায়রা বলছিলেন, “দিদি এখানে শিল্পতালুক গড়ার কথা বলেছেন। রাস্তা থেকে পাঁচিল, কাজও শুরু হয়েছে। দিদি এ বার শিল্প গোষ্ঠীর লোকজনদের নিয়ে হাজির হবেন, সেই আশাতেই আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Goaltore industrial estates negligence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE