Advertisement
০৬ মে ২০২৪

লালগড়ে চিতাবাঘ! খুঁজছেন বন কর্তারা

সোমবার সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বাঘের রাস্তা পেরনোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দাবি করা হয়েছে, এলাকাটি লালগড়ের। ছবিটিকে গুরুত্ব দিতে না চায়নি বন দফতর। যদি এ দিন বন দফতরের একটি দল এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লালগড় শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:১৯
Share: Save:

ফের চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়াল লালগড়ে!

গত রবিবার লালগড়ের জঙ্গল এলাকায় গৃহস্থের গরু-বাছুরের উপর হামলা চালায় একটি হিংস্র প্রাণি। মেলখেড়িয়া গ্রামের গোপীনাথ মুর্মু জানিয়েছেন, রবিবার গ্রামের অদূরে মধুপুর জঙ্গলে গরু চরানোর সময় প্রাণিটিকে তিনি দেখতে পান। গরু বাছুরের উপর হামলা চালিয়েছিল হিংস্র প্রাণিটি। একটি বাছুর মারা যায়। জখম হয় আরও একটি একটি গরু। গত দু’দিনে লালগড়ের জঙ্গল এলাকায় হিংস্র প্রাণির হামলায় আরও কয়েকটি গরু-বাছুর আক্রান্ত হয়েছে। কয়েকদিন আগে লালগড়ের জঙ্গল লাগোয়া চারণভূমিতে কয়েকটি গরু আক্রান্ত হয়েছিল। আরও কয়েকটি গরু নিখোঁজ হয়ে যায়। একটি গরুকে মেরে বেশ খানিকটা অংশ খেয়ে ফেলেছিল হিংস্র প্রাণিটি। এরপরই লালগড়ে বাঘের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে।

সোমবার সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বাঘের রাস্তা পেরনোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দাবি করা হয়েছে, এলাকাটি লালগড়ের। ছবিটিকে গুরুত্ব দিতে না চায়নি বন দফতর। যদি এ দিন বন দফতরের একটি দল এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিল। এডিএফও (মেদিনীপুর) পূরবী মাহাতোর নেতৃত্বে চার বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ লালগড়ের মেলখেড়িয়া, আমলিয়া, কামরাঙির জঙ্গলে ঘুরে দেখেন। কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গে। আমলিয়া গ্রামের লাগোয়া জলাশয়ের কাছে প্রাণিটির সদ্য পায়ের ছাপও সংগ্রহ করেন তাঁরা।

বন দফতরের একাংশ মনে করেছেন প্রাণটি চিতাবাঘ। সত্যি কি চিতাবাঘ? মেদিনীপুরের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে জঙ্গলের ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ওই ফাঁদ-ক্যামেরা বসানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Leopard Lalgarh Jhargram Forest Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE