Advertisement
E-Paper

কেরোসিন ডিলার বদলে ক্ষোভ

কেরোসিন তেলের ডিলার বদল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকেরা। সোমবার দাঁতন বিডিও অফিসে বৈঠক চলাকালীন বিক্ষোভ দেখান চকইসমাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো রেশন গ্রাহক। ওই এলাকার প্রায় আঠারোশো গ্রাহককে ব্লকের কুসমির এক ডিলারের কাছে স্থানান্তরিত করে দেওয়াতেই এই ক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে। একাংশ গ্রাহক নতুন ডিলারের থেকে কেরোসিন নিলেও প্রায় আটশো গ্রাহক তা নিচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, গ্রামের নিকটবর্তী জ্যোতিবাড়ের ডিলারের কাছে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হোক। কিন্তু ব্লক প্রশাসন রাজি হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৪

কেরোসিন তেলের ডিলার বদল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকেরা। সোমবার দাঁতন বিডিও অফিসে বৈঠক চলাকালীন বিক্ষোভ দেখান চকইসমাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো রেশন গ্রাহক।

ওই এলাকার প্রায় আঠারোশো গ্রাহককে ব্লকের কুসমির এক ডিলারের কাছে স্থানান্তরিত করে দেওয়াতেই এই ক্ষোভ বলে জানা গিয়েছে। একাংশ গ্রাহক নতুন ডিলারের থেকে কেরোসিন নিলেও প্রায় আটশো গ্রাহক তা নিচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, গ্রামের নিকটবর্তী জ্যোতিবাড়ের ডিলারের কাছে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হোক। কিন্তু ব্লক প্রশাসন রাজি হয়নি।

এত দিন চকইসমাইল পঞ্চায়েতের সীমানাবর্তী মধুবনী, বাহারদা ও অর্জুনীর প্রায় আঠারোশো গ্রাহক মোহনপুর ব্লকের গোমুণ্ডার এক ডিলারের থেকেই রেশনের কেরোসিন তেল নিতেন। গত ৭ নভেম্বর দাঁতন পঞ্চায়েত সমিতি সিদ্ধান্ত নেয় দাঁতন ব্লকেরই কোনও ডিলারের কাছে ওই গ্রাহকদের স্থানান্তরিত করা হবে। এরপরই শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। সিদ্ধান্ত মতো ব্লক প্রশাসন ওই আঠারোশো গ্রাহককে দাঁতনের কুসমির এক ডিলারের কাছে স্থানান্তরিত করে। এর ফলে আগের থেকে দূরত্ব অনেকটা কমেছে বলেই দাবি পঞ্চায়েত সমিতির। যদিও ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের অভিযোগ, দূরত্ব কমলেও কুসমির যে এলাকায় ডিলার বাছা হয়েছে, সেখানে কোনও বাজার নেই। ফলে কেরোসিন নিতে গিয়ে বাজার করা যাবে না। চাল, ডাল, গম, চিনির জন্য যদি জ্যোতিবাড় যেতেই হয়, তাহলে সেখানকার কেরোসিন ডিলারের কাছেই তাঁদের স্থানান্তরিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

এ নিয়ে ব্লক খাদ্য পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুব্রত মহাপাত্র ও সুরেন জানা নামে দুই গ্রাহক। গত ১০ নভেম্বর বিষয়টি মহকুমা খাদ্য নিয়ামককে জানান ব্লক খাদ্য পরিদর্শক। গত ২৪ নভেম্বর আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন মহকুমা খাদ্য নিয়ামক। এ দিন সেই বৈঠকই ডাকা হয়েছিল দাঁতন ব্লক অফিসে। বৈঠকে দুই অভিযোগকারীকে ডাকা হলেও ভিড় জমান অন্য গ্রাহকেরাও। সেই ভিড়ে থাকা নীলকন্ঠ জানা, সন্তোষ জানাদের বক্তব্য, “গোমুণ্ডা থেকে কেরোসিন নিলে বাজারটাও করা যায়। কুসমিতে সেই সুবিধে। তাছাড়া কুসমির ডিলার মাপে কারচুপি করেন। তাই আমাদের দাবি জ্যোতিবাড়ের ডিলারের কাছে আমাদের নিয়ে যাওয়া হোক। নাহলে আমরা কেরোসিন নেব না।”

পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মধ্যক্ষ বাসুদেব পিঙ্গুয়া অবশ্য বলেন, “দূরত্ব অনেক কমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কুসমির ডিলারের কাছে না গিয়ে আটশো গ্রাহক অন্য ডিলারের থেকে কেরোসিন নিতে চাইছেন। এই দাবি অনৈতিক।” এ কথা জেনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্লক অফিসে জড়ো হওয়া রেশন গ্রাহকেরা। ব্লক খাদ্য পরিদর্শক প্রতিমা সরকার বলেন, “অন্য ব্লকে যাতে গ্রাহকদের যেতে না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত। বৈঠকে মীমাংসা না হওয়ায় আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন আধিকারিককে জানাব।” পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায় জানান, এই বিষয়টি মহকুমাস্তরেই দেখা হয়। ব্লকে কেরোসিন থাকলে অন্য ব্লক থেকে কেরোসিন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই তিনি জানেন। জট কী ভাবে কাটে, সে দিকেই এখন সকলে তাকিয়ে।

kharagpur kerosene dealers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy