Advertisement
E-Paper

ক্ষোভ সামলাতে পারুলদায় ত্রাণ

পুকুরের দখল নিয়ে গোলমালে বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী লোধা পরিবার তৃণমূলেরই সমর্থক। সাত দিনেও ক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় এ বার গ্রামে এলেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলার পুলিশ সুপার। হল ত্রাণ বিলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩২
ত্রাণ দিচ্ছেন সভাধিপতি। পাশে পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র।

ত্রাণ দিচ্ছেন সভাধিপতি। পাশে পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র।

পুকুরের দখল নিয়ে গোলমালে বাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী লোধা পরিবার তৃণমূলেরই সমর্থক। সাত দিনেও ক্ষোভ প্রশমিত না হওয়ায় এ বার গ্রামে এলেন তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও জেলার পুলিশ সুপার। হল ত্রাণ বিলি।

শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগড়ের কুনারপুর পঞ্চায়েতের পারুলদা গ্রামে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ত্রাণ বিলি হয়। পাশাপাশি সভাধিপতি উত্তরা সিংহকে শুনতে হল লোধাদের অভিযোগ যে তৃণমূলের লোকজনই তাদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের কাছে অভিযুক্তদের শাস্তি ও নিরাপত্তার দাবিও জানান তাঁরা। সভাধিপতির আশ্বাস, “যাঁদের ঘর ভেঙেছে তাঁরা সোমবার আমার কাছে আবেদন করুন। যত দ্রুত সম্ভব ঘর মেরামতের ব্যবস্থা করব।” পুলিশ সুপারও বলেন, “আমরা মারামারি বরদাস্ত করব না। শক্ত হাতে এ সব মোকাবিলা করব।”

গত ২৩ অগস্ট এই গ্রামে লোধাদের চারটি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ননীগোপাল সাহু-সহ ২১ জন দলীয় কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। লোধাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন তাঁদের দখলে থাকা একটি পুকুর জোর করে কেড়ে নিতে চাইছেন ননীগোপাল। সফল না হওয়ায় এক লোধা যুবকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়। লোধারা একজোট হয়ে এ সবের প্রতিবাদ করায় তাঁদের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাম জমানায় ওই লোধা পরিবারগুলি সিপিএম করত। এখন তারা তৃণমূল সমর্থক। ফলে, একাংশ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাদের মানতে পারছে না। আর এতেই বাধছে গোলমাল।

শুক্রবার পারুলদা গ্রামে ঢোকার মুখেই ত্রাণ শিবির করা হয়। এক সপ্তাহ কেটে গেলেও বাড়িতে হামলার ছাপ স্পষ্ট। বাড়ির উঠোনে বসে কাঁদছেন মেয়েরা। যাঁর ছেলেকে চোর সন্দেহে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল, সেই ভুটা ডিগারের স্ত্রী রিঙ্কু ছলছলে চোখে বললেন, “ছেলেটাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিলেন ননীগোপাল সাহু। ওঁর নির্দেশেই বাড়ি ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওঁর এখনও শাস্তি হয়নি। অথচ গ্রামেই রয়েছেন।” নন্দ ডিগারের বৌমা শ্রীমতির কথায়, “বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে আছি।”

শক্তি ভক্তা, প্রদীপ নায়েক, উমা ডিগার সকলেই এ দিন পুলিশ কর্তা ও জেলা সভাধিপতির সামনে ঘটনার বিহিত চেয়েছেন। ছিলেন লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলাই নায়েকও। পুকুরের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সভাধিপতি।

discontent narayangarh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy