Advertisement
E-Paper

খসড়া সংরক্ষণ নিয়ে নালিশ

রেলশহরে পুর-নির্বাচনের আসন সংরক্ষণ তালিকায় গরমিল রয়েছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিল। কোথাও আসন সংরক্ষণের নিয়মে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, কোথাও জাতিগত হিসেব না মেনেই সংরক্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমার কাছে ইতিমধ্যে ৫-৬টি অভিযোগ এসেছে। আমি সেগুলি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসকের অফিসে শুনানি রয়েছে। সে দিনও কেউ অভিযোগ থাকলে জানাতে পারেন।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৮

রেলশহরে পুর-নির্বাচনের আসন সংরক্ষণ তালিকায় গরমিল রয়েছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা দিল। কোথাও আসন সংরক্ষণের নিয়মে ত্রুটির অভিযোগ উঠেছে, কোথাও জাতিগত হিসেব না মেনেই সংরক্ষণ হয়েছে বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “আমার কাছে ইতিমধ্যে ৫-৬টি অভিযোগ এসেছে। আমি সেগুলি জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসকের অফিসে শুনানি রয়েছে। সে দিনও কেউ অভিযোগ থাকলে জানাতে পারেন।”

আগামী মে মাসে খড়্গপুর-সহ রাজ্যের ৮১টি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা। গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের তরফে খড়্গপুর পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। এ বছর সংরক্ষণের গেরোয় কংগ্রেস, তৃণমূল ও সিপিএমের মোট ১২জন বর্তমান কাউন্সিলর নিজের ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মাও সংরক্ষণের আওতায় পড়ে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূলের তরফে খসড়া তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ১১, ১২, ১৫, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নিয়ম মেনে সংরক্ষণ না হওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পালের বৌমা জয়া পাল। এ বার ওয়ার্ডটি তফসিলির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। জহরলালবাবুর অভিযোগ, “এই সংরক্ষণ নিয়ম মেনে হয়নি। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ শতাংশের কম তফসিলি উপজাতি বসতি থাকায় আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তুলনায় অন্য অনেক ওয়ার্ডে তফসিলি জাতির বাসিন্দা বেশি রয়েছে। এ নিয়েও অভিযোগ জানাব।” ১২নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় বর্তমান কাউন্সিলর সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডলও অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দু’টি ওয়ার্ড ছেড়ে তালিকা তৈরি যে নিয়ম এখানে তা মানা হয়নি। তাই ১১ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের পরে আমার ১২ নম্বরও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটা কেন হল তা জানতে চেয়েছি।”

পুরসভায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেসও সংরক্ষণ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। এ বছর কংগ্রেসের ১১ নম্বরের কাউন্সিলর পারমিতা ঘোষ, ১৫ নম্বরের বি মুরলিধর রাও ও ২৭ নম্বরের তপন বসু নিজের ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “আমাদের তিন কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি।”

kharagpur vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy