Advertisement
E-Paper

গ্রন্থাগারে জমা পড়ল দু’জন পুর প্রতিনিধির নাম

এগরা পুরসভা এলাকার সরকারি পাঠাগারের পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য দু’জন পুর প্রতিনিধির নাম জমা পড়ায় নতুন বিতর্ক তৈরি হল। গত ২৭ জানুয়ারি এগরা পুর এলাকার সাধারণ পাঠাগারের পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য পুর প্রতিনিধি পাঠাতে পুর প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন গ্রন্থাগারিক। গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির দশটি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে তৃণমূল সবক’টি আসনেই জয়ী হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৪১

এগরা পুরসভা এলাকার সরকারি পাঠাগারের পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য দু’জন পুর প্রতিনিধির নাম জমা পড়ায় নতুন বিতর্ক তৈরি হল। গত ২৭ জানুয়ারি এগরা পুর এলাকার সাধারণ পাঠাগারের পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য পুর প্রতিনিধি পাঠাতে পুর প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন গ্রন্থাগারিক। গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির দশটি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে তৃণমূল সবক’টি আসনেই জয়ী হয়।

নির্বাচনের পর নিয়ম মতো গ্রন্থাগারিক, দশটি আসনে ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী, এক জন পুর প্রতিনিধি, এক জন সরকারি প্রতিনিধি, গ্রন্থাগারের এক জন আজীবন সদস্যকে নিয়ে পরিচালন সমিতি গঠন হওয়ার কথা। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এগরা পুরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় বর্তমানে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দু’জন প্রশাসক। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসেবে ও পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য হিসেবে বিধায়ক সমরেশ দাস দায়িত্বে রয়েছেন। আগেও পুরসভায় কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে দিঘা মোড়ে বৈআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে মহকুমাশাসক ও বিধায়কের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে এসেছে। এ বারও গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতিতে পুর প্রতিনিধি পাঠানো নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হল।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মহকুমাশাসক পুরসভার মনোনীত সদস্য হিসেবে পুরসভার নিকাশি ইন্সপেক্টর বনবিহারী পাত্রের নাম পাঠান। অন্য দিকে, ওই একই পদের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রন্থাগারিককে চিঠি দিয়ে পুরসভার করণিক রতন পাহাড়ীর নাম পাঠান এগরার বিধায়ক। ওই চিঠিতে তিনি মহকুমাশাসকের নির্দেশও খারিজ করার কথা জানান বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সমরেশবাবু জানান, মহকুমাশাসক যার নাম পাঠিয়েছেন, তিনি ওই গ্রন্থাগারের ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাই নতুন নাম পাঠিয়েছি। প্রশ্ন উঠছে, মহকুমাশাসককে না জানিয়ে কীভাবে তিনি অন্য এক জনের নাম পাঠালেন? সমরেশবাবুর জবাব, “পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসেবে মহকুমাশাসক অনৈতিক ভাবে ওই নাম পাঠিয়েছেন। তাই পুরসভার সম্মান রক্ষা করতে আমি নতুন নির্দেশ দিয়েছি। তাছাড়াও মহকুমাশাসক বিভিন্ন নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করছেন।”

যদিও মহকুমাশাসকের বক্তব্য, “আমার পাঠানো নাম প্রত্যাহার করিনি। বিষয়টির বৈধতা গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ দেখবেন।” সমরেশবাবুর অনৈতিক কাজের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” এ বিষয়ে সাধারণ পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক কানাইলাল দাস বলেন, “পুরসভার থেকে দু’টি চিঠি পেয়েছি। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করছি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।” যদিও জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিত্‌ পান বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। বর্তমানে বইমেলার কাজে ব্যস্ত রয়েছি। মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”

egra library
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy