Advertisement
১১ মে ২০২৪

চণ্ডিয়া নদী সংস্কারের কাজ শুরু চলতি মাসেই

কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মাঝে থাকা চণ্ডিয়া নদী খননের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজের অনুমোদন দিয়েছে সেচ দফতর। চণ্ডিয়া নদী সংস্কারের এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

কাজ শুরু হবে দ্রুত, আশ্বাস প্রশাসনের। ফাইল চিত্র।

কাজ শুরু হবে দ্রুত, আশ্বাস প্রশাসনের। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৮
Share: Save:

কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার মাঝে থাকা চণ্ডিয়া নদী খননের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে চলতি মাসেই। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজের অনুমোদন দিয়েছে সেচ দফতর। চণ্ডিয়া নদী সংস্কারের এই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য সাড়ে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেচ দফতরের পূর্ব মেদিনীপুর বিভাগের নির্বাহী বাস্তুকার কল্পতরু পাল বলেন, “চণ্ডিয়া নদীর মোহনার দিকে ঢেউভাঙা থেকে শ্রীধরপুর লকগেট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার অংশে নদী খননের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে শ্রীধরপুর থেকে বড়িশা পর্যন্ত আরও ৮ কিলোমিটার অংশ খননের কাজ চলতি মাসেই শুরু হবে। এজন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

জেলা সেচ দফতর ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বৃহৎ এই নদী সংস্কার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল। কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার প্রকল্পে ওই দুই নদী ছাড়াও চণ্ডিয়া, বাগুই, দেউলি নদী ও এইসব নদী সংলগ্ন বেশ কিছু খাল সংস্কার ও পাকা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে এই প্রকল্পে ৬৫০ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের লাঙলকাটায় এই নদী সংস্কার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পবন বনশল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৎকালীন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। প্রথম পর্যায়ে দুই মেদিনীপুর জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাগুই, চণ্ডিয়া নদীর একাংশ খননের পাশাপাশি ওইসব নদীর সঙ্গে যুক্ত খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তিনটি আর্থিক বছরে দু’টি পর্যায়ে এই নদী সংস্কার কাজ ২০১৪ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সবেমাত্র প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ এই নদী খনন প্রকল্পের কাজ ঢিমেতালে চলার অভিযোগ উঠেছে।

ময়না ও পিংলা এলাকার মাঝদিয়ে বয়ে যাওয়া চণ্ডিয়া নদী সংস্কারের প্রথম পর্যায়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ সংস্কার হয়েছে। এ বার দ্বিতীয় পর্যায়ের নদী খনন কাজ শুরু হবে। জেলা সেচ দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, নদী খনন কাজ করার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লক প্রশাসন, সেচ দফতরের আধিকারিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করা হচ্ছে। নদী খননের কাজে স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা পেতে প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE