Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জেলায় যুগ্ম প্রথম অরিন্দম-শুভদীপ

উচ্চ মাধ্যমিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশের হার সর্বোচ্চ। কিন্তু মেধা তালিকায় আসতে পারেনি জেলার পরীক্ষার্থীরা। তবে জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত একজন নয়, সংখ্যায় তারা দুই। কাঁথি মডেল ইন্সটিটিউশনের শুভদীপ পাল ও মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর হাইস্কুলের অরিন্দম মণ্ডল-দুজনেই ৪৬৩ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে জেলায় প্রথম হয়েছে। দু’জনেরই ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার।

পরিবারের সঙ্গে অরিন্দম (বাঁ দিকে) ও শুভদীপ ( ডান দিকে)। ছবি: সোহম গুহ।

পরিবারের সঙ্গে অরিন্দম (বাঁ দিকে) ও শুভদীপ ( ডান দিকে)। ছবি: সোহম গুহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৪ ০০:৩৪
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশের হার সর্বোচ্চ। কিন্তু মেধা তালিকায় আসতে পারেনি জেলার পরীক্ষার্থীরা। তবে জেলার সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত একজন নয়, সংখ্যায় তারা দুই। কাঁথি মডেল ইন্সটিটিউশনের শুভদীপ পাল ও মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর হাইস্কুলের অরিন্দম মণ্ডল-দুজনেই ৪৬৩ নম্বর পেয়ে যুগ্মভাবে জেলায় প্রথম হয়েছে। দু’জনেরই ইচ্ছা রয়েছে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার।

২০১২ সালে অরিন্দম মাধ্যমিক দিয়েছিল কুঙরনারায়ণ বাণীমন্দির হাইস্কুল থেকে। সেই সময় রাজ্যে অষ্টম হয়েছিল সে। তাই এ বার প্রথম দশজনের তালিকায় থাকতে না পেরে কিছুটা বিমর্ষ অরিন্দম। বাংলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী নম্বর পায়নি বলে দাবি তার। সেইজন্য বাংলা খাতা পুনর্মূল্যায়ণের কথাও জানিয়েছে সে। তার বাংলায় প্রাপ্ত নম্বর ৮২। বাকি বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ইংরেজি ৯১, অঙ্ক ৯১, জীবন বিজ্ঞান ৯৪, রসায়ন ৯৮ পদার্থ বিজ্ঞান ৯৮। গঙ্গাধর স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুখেন্দু বিকাশ বায়েন বলেন, “বাংলায় আর কিছুটা নম্বর পেলেই অরিন্দম প্রথম দশজনের মধ্যে থাকত। অরিন্দমের বাবা অশোক কুমার মণ্ডল খড়্গপুরে রেলওয়ে ওয়ার্কশপের কর্মী, মা মৌসুমী মণ্ডল ভূপতিনগর কন্যা বিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষিকা। প্রতিটি বিষয়ে গৃহশিক্ষক থাকলেও মা মৌসুমীদেবীও অরিন্দমকে রসায়ন বিষয়ে পড়াতেন। অবসরে কম্পিউটার গেম খেলা ছাড়াও রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতে আর শরচন্দ্রের বই পড়তে ভালবাসে সে। সচিন তেন্ডুলকর ভক্ত অরিন্দম মাধাখালিতে বাড়িতে বসে জানিয়েছে, মেডিক্যালে সুযোগ না পেলে পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পড়বে।

কাঁথি মডেল ইন্সটিটিউশনের ছাত্র শুভদীপও ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়। অঙ্কে উচ্চ মাধ্যমিকের আগে দিনে ১০ থেকে ১১ ঘন্টা করে পড়াশোনা করত শুভদীপ। তবে অরিন্দমের মতো শুভদীপও বাংলার নম্বর নিয়ে খুশি নয়। সে বাংলায় পেয়েছে ৮০। তাই বাংলা খাতা পুনর্মূল্যায়ণের কথা জানিয়েছে সেও। বাকি বিষয়ে তার প্রাপ্ত নম্বর ইংরেজি ৯৩, অঙ্ক ৯৪, জীবন বিজ্ঞান ৯৮, রসায়ন ৯৮ পদার্থ বিজ্ঞান ৯৪। প্রতিটি বিষয়েই ছিল গৃহশিক্ষক। শুভদীপের বাবা অমরেশ পাল জীবন বিমা অফিসের কর্মী আর মা শর্মিষ্ঠা পাল গৃহবধূ। ছেলের এই নম্বরের কথা জেনে খুশি তাঁরা। ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকে ধোনি ভক্ত শুভদীপ। আর অবসরে তার সঙ্গী রবীন্দ্রনাথ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

higher secondary result kanthi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE