স্টেশনে সমস্ত ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া ও স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে অবরোধ করল গ্রামবাসী। মঙ্গলবার সকালে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার ডেবরার ডুঁয়া স্টেশনে প্রায় এক ঘণ্টা ওই অবরোধ চলে। গ্রামবাসীর দাবি, দিনের অধিকাংশ সময়ে ওই স্টেশনে কোনও ট্রেন না দাঁড়ানোয় দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ ছাড়াও স্টেশনে পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা। অবরোধের জেরে ডাউন বেলদা প্যাসেঞ্জার, আপ ইস্পাত এক্সপ্রেস ও আপ বেলদা প্যাসেঞ্জার আটকে যায়। রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আলোচনার আশ্বাসে দিলে অবরোধ উঠে যায়।
২০০১ সালের আগে ডেবরা ব্লকের রাধামোহনপুর, বালিচক ও শ্যামচক স্টেশনই ছিল ওই এলাকার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। তবে ডুঁয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পদিমা, ডুঁয়া, কাঞ্চনপুর, নছিপুর, কালুয়া, শ্রীধরপুর-সহ বেশকিছু গ্রামে বহু ফুল ও সব্জি চাষির বসবাস। স্থানীয়রা নিত্য যাতায়াতের সুবিধার জন্য ডুঁয়ায় একটি স্টেশন গড়ে তোলার দাবি তোলে। ২০০১ সালের ১৪ জুলাই রেল কর্তৃপক্ষ ডুঁয়ায় একটি হল্ট স্টেশনের উদ্বোধন করে। প্রাথমিকভাবে ওই স্টেশনে কয়েকটি ট্রেন দাঁড়াত। তবে এখন বেশকিছু প্যাসেঞ্জার ট্রেনও এই হল্ট স্টেশনে দাঁড়ায়। অবরোধকারীদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট সময়েই
ট্রেনগুলি ওই স্টেশনে দাঁড়ায়। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময় স্টেশনে কোনও ট্রেন না দাঁড়ানোয় বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েন।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই শাখার ৩৯টি ট্রেন এই স্টেশনে দাঁড়ায়। আপ লাইনে বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত কোনও ট্রেন ওই স্টেশনে দাঁড়ায় না। ডাউন লাইনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো ও সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও ট্রেন থাকে না। তাই ওই লাইনে চলাচলকারী প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড় করানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। অবরোধকারীদের দাবি, রাতে স্টেশন চত্বরে আলো, রেল গেটের কাছে রাস্তা পারাপারের ফুটব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। স্থানীয় চাষি বিশ্বনাথ সামন্ত, পিন্টু গাঁতাইতরা বলেন, “স্টেশনে সবসময় ট্রেন না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া স্টেশনে আলো, জল কিছুই পর্যাপ্ত নেই। ট্রেনের সময়সূচি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। মাইকে ট্রেনের সময়ের ঘোষণাও হয় না। এর আগে দাবি জানিয়েও সুফল না মেলায় বাধ্য হয়ে অবরোধ করেছি।” এ দিন রেল কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ডুঁয়া একটি হল্ট স্টেশন। টিকিট বিক্রির ওপর নির্ভর করে ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়। ওঁরা যে সমস্ত ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ানোর দাবি করছেন, সেই বিষয়টি রেলবোর্ড দেখে। আর স্টেশনে আলো নিয়ে সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু বিষয়টি খতিয়ে দেখব।”
অভিভাবকদের বিক্ষোভ। স্কুলে অসামাজিক ক্রিয়াকলাপ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। কেশিয়াড়ির ব্লকের বাঘাস্তি হরিচরণ এসি হাইস্কুলের মঙ্গলবারের ঘটনা। এ দিন প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে পঠনপাঠনের মান নেমে গিয়েছে। শিক্ষকেরা ইচ্ছে মতো কাজ করছেন। স্কুলে দীর্ঘ দিন অভিভাবক সভা ডাকা হচ্ছে না। পরে অভিভাবক সভা ডাকার আশ্বাসে বিক্ষোভ মিটে যায়। দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক শ্যামসুন্দর বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy