Advertisement
০৬ মে ২০২৪

নতুন প্যাসেঞ্জার ট্রেন পেয়ে খুশি বেলদাবাসী

নতুন ট্রেন পেল বেলদাবাসী। গত রেল বাজেটে হাওড়া-বেলদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের গতিপথ ওড়িশার জলেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। হাওড়াগামী একমাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেন জলেশ্বর থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামিল হন বেলদার বাসিন্দারা। ট্রেনটিকে পুনরায় বেলদা থেকে চালু করার দাবিতে গঠিত হয় বেলদা-হাওড়া লোকাল বাঁচাও ও যাত্রী সুরক্ষা কমিটি। একাধিকবার রেল অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয় পরিষেবা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৭
Share: Save:

নতুন ট্রেন পেল বেলদাবাসী। গত রেল বাজেটে হাওড়া-বেলদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের গতিপথ ওড়িশার জলেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়। হাওড়াগামী একমাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেন জলেশ্বর থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সামিল হন বেলদার বাসিন্দারা। ট্রেনটিকে পুনরায় বেলদা থেকে চালু করার দাবিতে গঠিত হয় বেলদা-হাওড়া লোকাল বাঁচাও ও যাত্রী সুরক্ষা কমিটি। একাধিকবার রেল অবরোধের জেরে বিপর্যস্ত হয় পরিষেবা। বুধবার ফের রেল অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। এরপরই মঙ্গলবার রেলের পক্ষ থেকে হিজলি-হাওড়া লোকাল ট্রেনের যাত্রাপথ বেলদা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার কথা জানানো হয়।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই প্যাসেঞ্জার (মেমু) ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় বেলদা থেকে ছেড়ে ৬টা ৫০ মিনিটে খড়্গপুরে পৌঁছবে। সেখান থেকে ট্রেনটি হাওড়া যাবে। রাতে ফিরতি হাওড়া-বেলদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছেড়ে প্রতিদিন রাত ৯টা ২৫ মিনিটে খড়্গপুরে আসবে। সেখান থেকে বেলদায় পৌঁছবে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে। রেলের খড়্গপুরের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার মুরলীধর সাহু বলেন, “দীর্ঘদিন বেলদার বাসিন্দাদের নতুন ট্রেনের দাবি ছিল। আমাদেরও মনে হয়েছে, জলেশ্বর পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রাপথ সম্প্রসারিত হলে আসনের অভাব হবে। তাই ন্যায্য ওই দাবি বিবেচনা করেই হিজলি-হাওড়া প্যাসেঞ্জারকে বেলদা থেকে চালানো হবে।”

উল্লেখ্য, টানা আন্দোলনের পরে গত ২০১১ সালে চালু হয় বেলদা-হাওড়া প্যাসেঞ্জার। গত রেল বাজেটে বেলদা থেকে হাওড়া যাওয়ার একমাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি জলেশ্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেই প্রতিবাদে নামেন বেলদার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, বেলদার ট্রেন জলেশ্বর পর্যন্ত চললে বিপাকে পড়বেন বেলদার যাত্রীরা। কেননা, বেলদা আসার আগেই ট্রেনটির সব আসন ভর্তি হয়ে যাবে। ফলে হাওড়া পর্যন্ত দীর্ঘপথ ট্রেনে দাঁড়িয়েই যেতে হবে। গত ৮ জুলাই থেকে শুরু হয় আন্দোলন। গত ২০ জুলাই রেল অবরোধ করা হয়।

অবরোধের পর জলেশ্বর পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত কিছুদিন স্থগিত রাখে রেলবোর্ড। নানা টালবাহানার পরে ট্রেনটি ফের জলেশ্বর পর্যন্ত চালু করার কথা শোনা যায়। গত ১২ ডিসেম্বর দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন কমিটির প্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। গত ১৪ জানুয়ারি ফের বেলদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে জলেশ্বর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরই ক্ষুব্ধ কমিটির সদস্যরা বুধবার থেকে আন্দোলন ও রেল অবরোধের ডাক দেয়।

মঙ্গলবার বিকেলে বেলদা স্টেশনের সামনে একটি প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় বাসিন্দাদের এই আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এলাকার বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্র। এর পরেই পুলিশের মাধ্যমে নতুন ট্রেনের কথা ঘোষণা করা হয়। কমিটির সম্পাদক মৃণাল দত্ত বলেন, “দীর্ঘ ছ’মাস ধরে আন্দোলনের পরে বেলদা নতুন ট্রেন পাওয়ায় আমাদের সাময়িক জয় হল। তবে এখনও মেদিনীপুর পর্যন্ত লোকাল, দিল্লি ও দক্ষিণ ভারতগামী কিছু দূরপাল্লার ট্রেনকে বেলদা স্টেশনে দাঁড় করানোর দাবি রয়েছে।” এই দাবিতে প্রতি বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ সভা করার কথা জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

belda new passenger train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE