জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিকের কাছে আপত্তি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় একাংশ মানুষের আপত্তিতে অরবিন্দনগরের জমি হস্তান্তর হল না। বুধবার সকালে জমি জরিপ করে খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু হয়েছিল। পরে একাংশ স্থানীয় মানুষ এসে নিজেদের আপত্তির কথা জানান। খুঁটি পোঁতার কাজের তদারকি করতে এলাকায় এসেছিলেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দী। কৌশিকবাবুর কাছেও আপত্তির কথা জানান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মাঝপথেই খুঁটি পোঁতার কাজ বন্ধ হয়। মেদিনীপুর শহরে নতুন একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হওয়ার কথা। বছর দেড়েক আগেই এ নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়। শুরুতে প্রয়োজনীয় জমির খোঁজ শুরু হয়। শহরের অরবিন্দনগরে সরকারি জমি রয়েছে। এই জমি থেকেই প্রায় ৩.৭৫ একর জমি তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরকে হস্তান্তর করা কথা। ওই জমিতেই গড়ে ওঠার কথা অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ ‘রবীন্দ্র ভবন’।
প্রস্তাবিত এই ভবনের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর প্রায় ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। একাংশ স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, আগে আলোচনায় বসতে হবে। তারপরই কাজ এগোতে হবে। কেউ রাস্তার জন্য কিছুটা জমি ছাড়ার দাবি করেন। কেউ আবার প্রশ্ন তোলেন, এই জমিতে নির্মাণ কাজ হলে এলাকার ছেলেমেয়েরা খেলবে কোথায়। এটিই এলাকার খেলার মাঠ। কারও আবার দাবি, পাশে বসতি এলাকা রয়েছে। ফলে, এই জমিতে নির্মাণ কাজ করা যাবে না।
কেন খুঁটি পোঁতার কাজ মাঝপথে বন্ধ হল? জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিকবাবু বলেন, “কয়েকজন এসে আপত্তি করেন। তাই কাজ এগোনো যায়নি।” শহরের ওই এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর রাধারানি বেরা বলেন, “ঠিক কী হয়েছে জানি না। খোঁজ নিচ্ছি।” অন্য দিকে, মেদিনীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করি। স্থানীয়রা চাইলে আলোচনা হবে। আমি বিশ্বাস করি, উন্নয়নে কেউ বাধা দেবে না।” মেদিনীপুর শহরে অত্যাধুনিক প্রেক্ষাগৃহ এখন একটিই। প্রদ্যোৎ স্মৃতি সদন বা জেলা পরিষদ হল। যেখানে একটু উন্নতমানের আলো এবং শব্দের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকি প্রেক্ষাগৃহে এই ব্যবস্থা নেই। প্রস্তাবিত ‘রবীন্দ্র ভবন’ ক্যাম্পাসে ছোট-বড় মিলিয়ে তিনটি সভাঘর থাকার কথা। সভাঘরগুলোতে থাকবে উন্নত মানের শব্দ-ব্যবস্থা। মেদিনীপুর শহরে এমন অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হলে তা শহরের সংস্কৃতি-চর্চার ক্ষেত্রে নতুন পালক হিসেবে যুক্ত হবে বলেই মনে করেন অনেকে।
এই অবস্থায়, কবে জমি-জট কাটে, সেটাই এখন দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy