সংরক্ষণের গেরোয় রেলশহরের ১২ জন কাউন্সিলর এ বার নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারছেন না! এঁদের মধ্যে শাসক দল, সিপিএম, কংগ্রেসের কাউন্সিলররা রয়েছেন।
সোমবার পুরসভা নির্বাচনের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হতেই ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে। খড়্গপুরে মঙ্গলবার থেকেই প্রতিটি দল অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে কোন এলাকায়, কাকে প্রার্থী করা হবে সেই নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে ভাবনা চিন্তা।
খসড়া তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, ২, ৫, ৮, ১২, ১৬, ১৯, ২৬, ৩০ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তার মধ্যে ২, ৫, ৮, ৩৩, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের জয়ী কাউন্সিলরা নিজেদের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে ২৬ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিগত বারেও মহিলা প্রার্থী জয়ী হওয়ায় আসন দু’টি অপরিবর্তিত থাকলেও থাকতে পারে। তফশিলি জাতির মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। এ ছাড়াও ১১, ২০, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড তফশিলি জাতি এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ড তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৯৮১ সাল থেকে টানা জয়ের নজির গড়া সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডলও নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডগুলি হল ১১, ১৫, ১৬, ২০, ২৩, ২৭ নম্বর।
তবে আসন সংরক্ষণ নিয়ে তেমন চিন্তিত নন বলেই দাবি প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা জহরলাল পালের। তিনি বলেন, “পুরসভা নির্বাচনে ব্যক্তি একটা বিষয় হয় ঠিকই, তবে যাঁরা এক সময়ে জয়ী হয়েছিল তাঁরাও তো নতুন ছিলেন।” বর্তমান পুরপ্রধান তথা কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য রবিশঙ্কর পাণ্ডের কথায়, “নির্বাচনে মানেই সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষা। তবে পুর নির্বাচনে ব্যক্তি একটা প্রভাব ফেলে।” দু’ই দলের দু’ই নেতাই জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।
লোকসভার ফলের নিরিখে খড়্গপুর সদর বিধানসভায় যেমন এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সে তথ্য বাদ দিলেও ক্রমশ মিশ্রভাষাভাষীর এই শহরে ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি করে চলেছে বিজেপি। আসন সংরক্ষণও বিজেপির অনুকূলে যেতে পারে বলে তাঁদের অভিমত। এমন কথা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং বামেরা।