পুরসভায় মহকুমাশাসকের প্রথম বৈঠকে গরহাজির থাকলেন প্রাক্তন পুরপ্রধান, বিরোধী দলনেতা-সহ পাঁচ কাউন্সিলর। শনিবার খড়্গপুর পুরসভা সভাগৃহে ওই বৈঠক হয়। সেখানে সেরসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা সেনাবাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষায় পুর-পরিষেবা প্রদান, সদ্য প্রকাশিত পুর-নির্বাচনের আসন সংরক্ষণ, পুর এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে মহকুমাশাসক হিসেবে সঞ্জয় ভট্টাচার্য আসার পরে শহরের সব কাউন্সিলরকে নিয়ে এটি ছিল একটি সৌজন্য বৈঠকও।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে ৩৫ জন কাউন্সিলরকেই চিঠি দিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। তবে ছইলেন ৩০ জন। বৈঠকের প্রথম থেকেই পুর-উন্নয়ন সংক্রান্ত নানা বিষয় জানতে চান মহকুমাশাসক। তিনি প্রতিটি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সব কাউন্সিলরকে উদ্যোগী হতে বলেন। সেই সঙ্গে শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত করার আবেদনও জানান। শহর জুড়ে বাড়তে থাকা কুকুরের দৌরাত্ম্য নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলেন। তখন মহকুমাশাসক কয়েক’টি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে কুকুরের নির্বীজকরণে উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বাস দেন।
এর পরেই সেরসা স্টেডিয়ামে চলতি মাসের ১৩ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত হতে চলা সেনা নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়। সেই ক’দিন ৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর সমাগম হতে পারে। ওই দিন জল, আবর্জনা সাফাইয়ের মতো বিষয়ে পুরসভা কতটা সাহায্য করতে পারবে তা জানতে চান মহকুমাশাসক। এ ক্ষেত্রে পুরসভা প্রতিদিন সর্বাধিক ৭টি জলের ট্যাঙ্ক দিতে পারবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় পুরসভার পক্ষ থেকে। পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে বলেন, “ওই ময়দান রেলের।
তাই পরিষেবা প্রদানে রেলেরও দায়িত্ব থাকে। তবে আমাদের যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে ৭টির বেশি পানীয় জলের ট্যাঙ্ক দেওয়া যাবে না।”
মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “যে পরিমাণ লোক আসবে, সেখানে অন্তত ১০টি ট্যাঙ্ক প্রয়োজন। পুরসভা যতটা সম্ভব দেবে বলেছে। দেখছি, আরও কী ভাবে ব্যবস্থা করা যায়।” রেলের ওয়ার্ডে কাজকর্মের সমস্যা মেটাতে পুরসভার তরফে মহকুমাশাসককে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়। পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা নিয়েও আলোচনা হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলাশাসক খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে কারও কোনও অভিযোগ থাকলে মহকুমাশাসক খসড়া প্রকাশের দু’সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ জানাতে বলেন। সেই সঙ্গে তফশিলি জনজাতির শংসাপত্র পেতে যে বিলম্ব হচ্ছে, তার সমাধান কী ভাবে সম্ভব তা ও বুঝিয়ে দেন।
অবশ্য এ দিন বিরোধী দলনেতা তুষার চৌধুরী, প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পাল-সহ তৃণমূলের ৪ ও কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর অনুপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততার কথা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy