শঙ্করআড়ায় পথ অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি প্রার্থী বাদশা আলমকে মারধরের প্রতিবাদে পথ অবরোধ করলেন বিজেপি সমর্থকরা। সোমবার সকালে তমলুক শহরের শঙ্করআড়ায় প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ। ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, বিশ্বজিৎ দত্ত প্রমুখ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার হলদিয়া পুরসভার গেওডাব এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাদশা আলম। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল সমর্থকরা হামলা চালায়। বাদশা আলম-সহ জখম হন আরও দুই দলীয় কর্মী। জখম প্রার্থীকে রবিবার রাতেই ভর্তি করা হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের ১৫জন কর্মী-সমর্থকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ জালালউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ধৃতকে হলদিয়া এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার সকাল থেকেই বাদশা আলমকে মারধরের প্রতিবাদে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের জেরে আটকে পড়ে স্কুল ফেরত পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। অবরোধের ফলে সাধারণ পোশাকের পুলিশ কর্মীরা থাকলেও অবরোধা তোলরা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দুর্ভোগ চলার জেরে আটকে পড়া লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অবরোধে নেতৃত্বে থাকা বিজেপি নেতারা ঘোষণা করেন, দলীয় প্রার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে এটা প্রতীকী অবরোধ। দলের সাধারণ সম্পাদক সুকুমারবাবুর অভিযোগ, “হলদিয়ায় আমাদের দলীয় প্রার্থীর প্রচার বানচাল করতে পরিকল্পনা করেই তৃণমূলের কর্মীরা ওই একই সময়ে মিছিল করেছিল। ঘটনায় জড়িত সমস্ত তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করতে হবে।” এ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বাদশা আলম বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় প্রচার চলাকালীন হলদিয়ার গেওডাব এলাকার বাজারে আমাদের কর্মিসভা চলছিল। এসময় ৫০-৬০ জন তৃণমূলের পতাকা নিয়ে মিছিল করে এসে আমাকে ও দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ শুরু করে।” ঘটনাটিকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব না দিয়ে তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy