দাবি আদায় করতে শিক্ষক দিবসের দিনেই কলেজের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসলেন আংশিক সময়ের শিক্ষকরা। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহারাজা নন্দকুমার মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা। বিক্ষোভের জেরে কলেজের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ সামাল দিতে এ দিন কলেজ চত্বরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। যদিও পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস ধরে নন্দকুমার কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এ দিন বেতনের দাবিতেই সকাল ১১টা থেকে কলেজের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন শিক্ষকরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ ইউনিভার্সিটি পার্ট টাইম টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হন। যোগ দিয়েছিলেন আরও কিছু কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে বিক্ষোভকারীরা কলেজের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চাইলেও অন্য কলেজ থেকে আসা আংশিক সময়ের শিক্ষকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ছাত্রদের একাংশ আংশিক সময়ের শিক্ষকদের সমর্থনে করে কলেজের টিচার ইন চার্জকে অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে। অবশেষে দুপুর দেড়টা নাগাদ টিচার ইন চার্জ আংশিক সময়ের শিক্ষকদের কাছে গিয়ে তাঁদের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনার জেরে অনুষ্ঠান শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় দেরি হয়।
কলেজে আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভে নেতৃত্বে দেওয়া সংগঠনের কলেজ ইউনিট সভাপতি অরিন্দম বাগের অভিযোগ, “আমাদের কলেজে ১০ জন আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। আংশিক সময়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গড়িমসি করায় আমরা নির্দিষ্ট সময়ে বেতন পাচ্ছি না।” কলেজের টিচার ইন চার্জ প্রদ্যোৎকুমার দাস অবশ্য বলেন, “আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের দাবি থাকতেই পারে। তবে আজকের দিনে বিক্ষোভ কর্মসূচি বাঞ্ছনীয় নয়।” উল্লেখ্য, চলতি শিক্ষা বর্ষে গত জুলাই মাসে কলেজে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর দিনেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছিল নন্দকুমার কলেজে। তার জেরে ওই কলেজে বহিরাগতদের ঢোকা বন্ধ করতে নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েনও করা হয়। এ দিন ফের ওই কলেজে খোদ শিক্ষকদের বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘটনায় শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশ রক্ষায় তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy