বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি সমর্থক। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতনের শালিকোটা গ্রামে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মোটর বাইক, ওয়ান শার্টার পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি। ঘটনায় জখম হয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ দুই কর্মী। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাঁদেরও দু’জন জখম হয়েছেন। তবে বিজেপির তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েক আগে শালিকোটার আদিবাসী পাড়ার বেশ কিছু বাড়িতে হুকিং করে বিদ্যুৎ নেওয়ার অভিযোগে সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরের কর্মীরা। পাশের এলাকায় বহু বাড়িতেই এ ভাবে হুকিং চললেও, সেখানে কেন বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হল না তা নিয়ে ক্ষোভ দেখান আদিবাসীরা। সম্প্রতি সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে আদিবাসীদের একটি অংশ। তাঁদের দাবি, পাশের এলাকার অধিকাংশই তৃণমূল সমর্থক হওয়ার জন্যই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হয়নি। এই নিয়ে গ্রামের দু’টি পাড়ায় মধ্যে গোলমাল চলছিলই।
সোমবার রাতে একটি জায়গায় জমায়েত করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই জমায়েত দেখে তৃণমূল সমর্থকদের সন্দেহ হয়, বিজেপির কর্মীরা বিদ্যুৎ নিয়েই কোনও আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে। তৃণমূলের কর্মীরা ওই জমায়েতের প্রতিবাদ করতেই দু’পক্ষের হাতাহাতি বাধে। দ্রুত তা সংঘর্ষের আকার নেয়। জখম হন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সুবোধ মাইতি ও কর্মী জগন্নাথ জানা। তাঁদের দাঁতন ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে।
এ দিকে, বিজেপিও তাদের দুই কর্মী জখম হয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিবেকানন্দ বিশ্বাস বলেন, “দলীয় কর্মীরা একজনের বাড়িতে শান্তিপূর্ণ ভাবে সর্বভারতীয় নেতা অমিত শাহের নির্দেশ পালন নিয়ে বৈঠক করে সেখান থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন। বাড়িতে ঢুকেও সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে।”
ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপি সমর্থক কার্তিক সরেনকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিককে পুলিশ গাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁকে টেনে নামিয়ে মারধরের চেষ্টা করে কিছু তৃণমূলের কর্মী।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিক্রম প্রধান বলেন, “সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা কিছু কর্মী হুকিং করে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ সংযোগ চালাচ্ছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতর পদক্ষেপ করেছে।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা পরিকল্পিত ভাবে দলের মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যকে হেনস্থা করছিল। সেই সময়ে কর্মীরা তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy