স্থানীয় সংস্থার পরিবর্তে হলদিয়ার ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল) তেল পরিবহণের বরাত দিয়েছে মুম্বইয়ের ছ’টি পরিবহণ সংস্থাকে। প্রতিবাদে স্থানীয় ১৭টি পরিবহণ সংস্থার অবস্থান-বিক্ষোভ চলল সোমবারও। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট তিন দিন বিপিসিএলের তেল পরিবহণের কাজ বন্ধ থাকল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তেল পরিবহণের কাজ করে আসছিল স্থানীয় সংস্থাগুলি। এমনই এক সংস্থার মালিক গৌরচন্দ্র মণ্ডল ও বিক্রম জানাদের অভিযোগ, হলদিয়ার অন্য তেল সংস্থাগুলির সঙ্গে তেল পরিবহণ ব্যয়ের সামঞ্জস্য না রেখে বিপিসিএল কর্তৃপক্ষ দরপত্রে যে দর দিয়েছিলেন তা নিতান্ত কম। এ বিষয়ে আপত্তি জানানো হলে কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে মুম্বইয়ের ছ’টি সংস্থাকে ওই দরপত্র পাইয়ে দেন। এর ফলে সঙ্কটে পড়েন কয়েক’শো চালক-খালাসি, ট্যাঙ্কার মালিকরা।
পরিস্থিতি দেখে সোমবার র্যাফ নামানো হলেও তার সদব্যবহার করেনি পুলিশ। ট্যাঙ্কার চালক শেখ জাহির, শেখ মহসিনদের বক্তব্য, “আমরা কাজ ও কাজের স্থায়িত্ব চাই। বিপিসিএল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। আমরা ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।” বিপিসিএল সূত্রে বলা হচ্ছে, আদালতের নির্দেশ থাকায় তারাও বিপাকে পড়েছেন। তা না হলে এত দিন কাজ না করার অভিযোগে মুম্বইয়ের সংস্থাগুলির বরাত বাতিল করা যেত।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন পক্ষই নানা প্রস্তাব নিয়ে বৈঠকে বসে। সেখানে দু’টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। প্রথমত, উভয়পক্ষই ভাগাভাগি করে কাজ চালাবে। দ্বিতীয়ত, কাজ করবে কেবল স্থানীয়রা। মুম্বইয়ের সংস্থাগুলিকে তাঁদের জমা দেওয়া ‘সিকিউরিটি মানি’ ফেরত দেবে বিপিসিএল। কিন্তু দু’টি ক্ষেত্রেই ক্ষতি মুম্বইয়ের সংস্থা ও বিপিসিএলের। সুতরাং, অচলাবস্থা জারি থাকার সম্ভাবনাই বেশি। যদিও এ ব্যাপারে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি তাঁদের কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy