Advertisement
০৬ মে ২০২৪
পাঁশকুড়া

বাসস্ট্যান্ডের হাল ফেরাতে বরাদ্দ ১ কোটি

পাঁশকুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন পুরসভার বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। ওই বাসস্ট্যান্ড চত্বরের পাকা চাতাল নির্মাণ, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, আধুনিক আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তমলুক শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০১:১২
Share: Save:

পাঁশকুড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন পুরসভার বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্যের পরিবহণ দফতর। ওই বাসস্ট্যান্ড চত্বরের পাকা চাতাল নির্মাণ, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, আধুনিক আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, “রেলস্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডের চত্বর-সহ যাত্রীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বরাদ্দ চেয়ে পুরসভার তরফে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ দফতর ওই কাজের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বাসস্ট্যান্ডের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। চার মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।”

পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় পাঁশকুড়া স্টেশন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন। এই স্টেশন দিয়ে পাঁশকুড়া এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা ও ডেবরা এলাকার বহু যাত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু পাঁশকুড়া রেলস্টেশন ও বাজার সংলগ্ন রেলের জায়গায় থাকা পুরনো বাসস্ট্যান্ডটিতে বাস দাঁড়িয়ে থাকা ও যাত্রীদের ওঠানামার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সাধারণ মানুষকে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হত। ২০০২ সালে পাঁশকুড়া রেলস্টেশন ও পুরাতন বাজার সংলগ্ন এলাকা নিয়ে নতুন পুরসভা গঠিত হয়। এরপরই রেলস্টেশন সংলগ্ন ওই এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ডটি সরানোর উদ্যোগ নেয় তৎকালীন বামফ্রন্ট চালিত পুরবোর্ড। পুরসভার উদ্যোগে ওই বাসস্ট্যান্ডের কয়েক’শ মিটার দূরেই রেলের অব্যবহৃত একটি জলাশয় প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি (৩৫ বছরের) লিজ নিয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ৩ হাজার বর্গমিটার মাপের ওই জলাশয় ভরাটের কাজ হলেও ২০০৭ সালে পরবর্তী তৃণমূল পুরবোর্ডের আমলে বাসস্ট্যান্ডের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়। সাড়ে তিন বছর আগে পুরনো বাসস্ট্যান্ড বন্ধ করে নতুন জায়গায় বাসস্ট্যান্ড চালু করা হয়।

নতুন ওই বাসস্ট্যান্ডে ৪০ টি যাত্রীবাস দাঁড়ানোর মত জায়গা রয়েছে বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। বাসস্ট্যান্ডে পাঁশকুড়া থেকে তমলুক, হলদিয়া, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, রামজীবনপুর, ডেবরা, ত্রিলোচনপুর প্রভৃতি স্থানীয় রুটের যাত্রীবাস ছাড়াও দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটের যাত্রী ওঠানামা করে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের মত গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পাঁশকুড়া পুরসভার পরিচালনাধীন ওই নতুন বাসস্ট্যান্ডের চত্বর কংক্রিট করা, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পানীয় জল, আধুনিক আলোর ব্যবস্থা প্রভৃতি পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়ে প্রায় এক বছর আগে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ দফতর পাঁশকুড়া বাসস্ট্যান্ডের ওইসব কাজের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান জানান, “রাজ্য সরকারের বরাদ্দ ওই টাকা দিয়ে বাসস্ট্যান্ড চত্বর পাকা কংক্রিটের করা হবে, যাত্রীদের জন্য প্রতীক্ষালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থা, আধুনিক আলোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও বাসস্ট্যান্ডের অফিস ভবন দোতলা করা হবে। আগামী চার মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।”

এ দিকে নতুন ওই বাসস্ট্যান্ডের প্রশাসনিক ভবনের একাংশ দখল করে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরপ্রধান এই অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। শীঘ্রই সেটি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE