হাসি মুখে। মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা শেষে বাড়ির পথে। তমলুকের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
সোমবার থেকে শুরু হল চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিনের বিষয় ছিল বাংলা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রথম দিনে হাসি মুখেই পরীক্ষার্থীদের হল থেকে বের হতে দেখা যায়। পরীক্ষার্থীরা জানিয়েছে, প্রশ্নপত্রের উত্তর দিতে সমস্যা হয়নি।
কাঁথি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা শুরুর আগে এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় কেন্দ্রে হাজির থাকা স্বাস্থ্য পরীক্ষক দল প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা করে তার। অবশেষে ওই ছাত্রী নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা দেয়। কেন্দ্রগুলিতে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বেশ কিছু সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা ছাড়াও পরীক্ষা চলাকালীন ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্দিষ্ট আধিকারিকরা ছাড়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এগরা মহকুমাতেও নির্বিঘ্নে মিটেছে মাধ্যমিকের প্রথম দিন। দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে সকাল ১০টা থেকেই ভিড় জমছিল। পটাশপুরের খাড় উচ্চ মাধ্যমিক হাইস্কুল-সহ অন্যান্য স্কুলের সামনেও ছিল পুলিশি প্রহরা।
পরীক্ষা চলাকালীন নজরদারি, কাঁথিতে
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এগরা মহকুমা-সহ জেলা আহ্বায়ক জয়ন্তকুমার দাস জানান, এগরা মহকুমায় ১৮টি মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে ১১৪৫৪জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রবিকান্ত সিমলাই বলেন, “জেলার প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি।” পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার অমিতভরত রাঠৌর বলেন, “প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। কোথাও কোনও গণ্ডগোলের খবর পাইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy