শহরের একটি স্কুলে চলছে পরীক্ষা। সোমবার।—নিজস্ব চিত্র।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দিন কয়েক আগে থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সোমবার হাসপাতালেই পরীক্ষা দিল পাঁচ জন ছাত্রছাত্রী। এই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জন ছাত্রী। দু’জন ছাত্র। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক নির্মলেন্দু দে বলেন, “পাঁচ জন ছাত্রছাত্রী এ দিন হাসপাতালে পরীক্ষা দিয়েছে।”
মধ্যশিক্ষ পর্ষদ সূত্রে খবর, এ দিন কেশপুর হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় এক ছাত্রী, জাহালদা হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় এক ছাত্রী, মেদিনীপুর মেডিক্যালে পরীক্ষা দেয় এক ছাত্রী। অন্য দিকে, রোহিণী হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় এক ছাত্র। পিংলা হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় এক ছাত্র। এ দিন দাঁতনের জাহালদা হাইস্কুলে শৌচাগারে পড়ে গিয়ে জখম হয় শেখ মাজেদ এক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী। সে ব্লকের তুরকা হাইস্কুলের ছাত্র। জখম ওই ছাত্রকে খণ্ডরুই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
সোমবার থেকেই শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের দাবি, এ দিন জেলার সর্বত্র সুষ্ঠু ভাবেই পরীক্ষা হয়েছে। কোথাও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৮,৩৪৪। সব মিলিয়ে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৫০টি। এ বারও কিছু পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রকে ‘স্পর্শকাতর’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়েছে। এই সব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা ছিল।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের জেলা মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক নির্মলেন্দুবাবু বলেন, “প্রশ্নপত্র খুব ভাল ছিল। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও রকম সমস্যায় না পড়ে, সে দিকে আমাদের নজর ছিল। আশা করি, আগামী দিনেও ভাল ভাবে পরীক্ষা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy