তফসিলি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন প্রদেশ কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান সদস্য। পিংলা থানার পুলিশ জানিয়েছে, রবি ঘোষ নামে সত্তর বছর বয়সী ওই নেতাকে তাঁর মালিগ্রাম অঞ্চলের ছোটখেলনার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবাবু দীর্ঘদিন পিংলা ব্লক কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন। রবিবাবুকে তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধের আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার ধৃতকে মেদিনীপুর জেলা আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ১৪দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ওই মহিলার অভিযোগ, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি দলীয় কার্যালয়ে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে পার্টি সদস্য হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন রবিবাবু। কিন্তু মহিলা তাতে অস্বীকার করায় রবিবাবু তাঁর জাত নিয়ে কটূক্তি করেন এবং তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন বলেএ অভিযোগ। ওই মহিলা ২৮ জানুয়ারি রবি ঘোষের নামে পিংলা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১০ এপ্রিল ওই মামলায় চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেখানে রবিবাবুকে পলাতক দেখানো হয়। যদিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “রবিবাবু পিংলাতেই ছিলেন। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে গ্রেফতার না করে ফাঁসাতে পলাতক দেখানো হয়েছিল।”
শুক্রবার রাতে পিংলার পুলিশ রবি ঘোষের বাড়িতে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বাণীব্রত ভট্টাচার্য বলেন, “ওই মহিলা যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি ৭০ বছরের বৃদ্ধ। অভিযোগ দেখেই বোঝা যাচ্ছে এখানে নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।”অবশ্য এই ঘটনায় রাজনীতির রঙ দেখছে কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “তৃণমূলের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল করতে পিংলার ওসি কাজ করেছে। আমাদের অসুস্থ বর্ষীয়ান নেতাকে হেনস্থা করতে আইনের অপব্যবহার হয়েছে। আমি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এই আইনের অপব্যবহার বন্ধের অনুরোধ জানাব।” অবশ্য এ বিষয়ে পিংলার ব্লক তৃণমূল সভাপতি গৌতম জানার প্রতিক্রিয়া, ‘এই অভিযোগের বিষয়টি একেবারে ব্যক্তিগত। ওই মহিলার সঙ্গে আমাদের দলের যোগ নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy